ইসরায়েলি হামলার সপ্তম দিনে ইরানে নিহত ৬৩৯

ছবি: সংগৃহীত
ইরান-ইসরায়েল সামরিক সংঘাত সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৩৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৬৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এই পরিসংখ্যান সংগৃহীত হয়েছে ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও অভ্যন্তরীণ তথ্যসূত্র যাচাই করে গঠিত একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস এর আগেও ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে ছড়িয়ে পড়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভে হতাহতের তথ্য সংকলনের জন্য পরিচিতি পেয়েছিল।
ইরান সরকার নিয়মিতভাবে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করছে না। তাদের সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী— মোট নিহতের সংখ্যা ২২৪ জন, আহত ১ হাজার ২৭৭ জন।
এই তথ্যগুলো ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের অভ্যন্তরীণ মিডিয়া রিপোর্ট ও সরকারি বিবৃতিতে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের আকাশসীমা দখলের দাবি ইরানের
উল্টো দিক থেকে ইরানে চালানো ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ২৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
সংঘাতের ধারাবাহিকতায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে ঘিরে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে ইরানে সম্ভাব্য সামরিক হামলার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।
হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ এখনো না দিলেও, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রোধে সামরিক পদক্ষেপের ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন তিনি।
সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যা একটি পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ধ্বংসে ব্যবহৃত হতে পারে কেবল সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা।
১৩ জুন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার মাধ্যমে সংঘাত শুরু হয়। ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) এই সংঘাতের সপ্তম দিন। ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের নাম ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’, যার আওতায় ইরানজুড়ে একাধিক কৌশলগত স্থাপনায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি