News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:১২, ৯ নভেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১৪:২৩, ৯ নভেম্বর ২০২৫

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াশিংটন সফরে পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। সন্ত্রাসবাদের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার একদিন পরই গতকাল শনিবার শুরু হলো এই ঐতিহাসিক সফর। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৪৬ সালের পর এটিই প্রথম কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর।

গত ৭ নভেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়। একই দিনে ওয়াশিংটনও তার নাম সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়। ফলে আগামী ১০ নভেম্বর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে শারার অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা থাকছে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট জানান, আল-শারা সরকার নিখোঁজ মার্কিন নাগরিকদের খুঁজে বের করা এবং অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার মতো যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়াগুলো পূরণ করছে। আসাদ সরকারের ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের দমন-পীড়নের অবসান হওয়ার পর সিরিয়ার নেতৃত্বের এই অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বছরের শেষের দিকে ইসলামপন্থী নেতা আল-শারার নেতৃত্বে বিদ্রোহী বাহিনী দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখার নেতৃত্ব দিলেও তার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ২০১৬ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। গত জুলাইয়ে ওয়াশিংটন এইচটিএস-কে সন্ত্রাসী তালিকা থেকেও বাদ দেয়।

আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুসহ ৩৭ ইসরায়েলির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আগামীকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন আল-শারা। এর আগে গত মে মাসে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় সৌদি আরবের রিয়াদে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনের জন্য শারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল চাইবেন। 

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া-বিষয়ক বিশেষ দূত টম ব্যারাক আশা করছেন, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে সিরিয়াকে যুক্ত করতে শারা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

একটি কূটনৈতিক সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা সমন্বয় এবং সিরিয়া-ইসরায়েল চুক্তির অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে দামেস্কের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

এই সফরকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘনিষ্ঠতা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়