৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৮ হাজারই ঝুঁকিপূর্ণ: এসবি
ফাইল ছবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নির্বাচনী সময়কে ঘিরে কিছু এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ এবং সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।
এসবির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মোট ৪২,৭৬১টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে ৮,২২৬টি ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ২০,৪৩৭টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, মোট কেন্দ্রের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই কোনো না কোনোভাবে নিরাপত্তা হুমকির মুখে।
এসবি জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের ভৌত অবকাঠামো, থানার দূরত্ব, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব, সীমান্তবর্তী অবস্থান এবং সংখ্যালঘু বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা—এই পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্যের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভোটের সময় অবৈধ অর্থ ও অস্ত্রের প্রবাহ বাড়তে পারে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-কে দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসবির তথ্যের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়। তবে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ শব্দের পরিবর্তে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র’ শব্দটি ব্যবহার করতে চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতেও এসবির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাড়ে ১০ হাজারের মতো কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রস্তুতির তথ্য কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








