তারেকের আমজনতার দলকে ‘অবশ্যই’ নিবন্ধন দিতে হবে: রাশেদ খাঁন
ছবি: সংগৃহীত
নিবন্ধনের যাচাই-বাছাইয়ের শেষ ধাপে বাদ পড়ে ১৯টি দল, যার একটি আমজতার দল। দলটির নেতা তারেক ইসির সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরপরই নির্বাচন ভবনের সামনে গিয়ে আমরণ অনশনে বসেন। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ, সাম্যবাদী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
আমজনতার দলের নিবন্ধন দাবিতে দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমানের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, আমজনতার দলের তারেক রহমানের আন্দোলন যৌক্তিক এবং তার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে।
বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে তারেকের কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি এ সংহতি জানান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের সমজাতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দিতে মঙ্গলবার বিকালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামী কোনও জোট গঠন করবে না: ডা. শফিকুর রহমান
বুধবার তারেককে সমর্থন জানাতে এসে গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খাঁন বলেন, “তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তার দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। রাজপথের লড়াকু সৈনিক ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যিনি সবসময় রাজপথে লড়াই করেছেন, প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের মূল ফটকের সামনে তার দলের নিবন্ধনের দাবিতে অনশন করছেন। আমি সিইসির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইব।"
জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতাদের দল এনসিপি নিবন্ধন পেলেও বাকি দুটি দল কীভাবে নিবন্ধন পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাশেদ।
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর শর্ত হতে হবে রাজপথের সক্রিয়তা। কিন্তু এই সক্রিয়তা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র কমিটি দিয়েছে, বাসা-বাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে— তারা এই ছলে বলে কৌশলে নিবন্ধন পাবে; সেটি আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না।”
আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ায় ইসির সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাশেদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সঠিক তদন্ত করেননি।
এসময় তারেক রহমান বলেন, “আমরণ অনশনের জন্য আমি একাই যথেষ্ট। আমার কেন্দ্রীয় কমিটির ১৪১ সদস্য আছে। সবাই এখানে আসলে বিষয়টি কেমন দেখায়! এখানে শক্তি প্রদর্শনের বিষয় নয়; আমার আমরণ অনশন সবাইকে বার্তা দেওয়ার জন্য। আমার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।”
২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে নিজেদের দ্বন্দ্বে দলটি দুই ভাগ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে সরে যান রেজা কিবরিয়া।
গণঅধিকার পরিষদের একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁন। অপর অংশটি চলছিল মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








