News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৩৬, ৭ নভেম্বর ২০২৫

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন ঘিরে কোনো অনিশ্চয়তা নেই, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম। 

তিনি বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই; যারা যতো ষড়যন্ত্রই করুক, এই নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা (‘ওয়ান অফ দ্য বেস্ট’) নির্বাচন হবে।

শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নেত্রকোণা সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, আমাদের কথার মধ্যে কোনো ব্যত্যয় দেখেছেন? কোনো উপদেষ্টা কি কখনো বলেছেন যে নির্বাচনের বিষয়ে অনিশ্চয়তা আছে? 

শফিকুল আলম বলেন, সরকার শুরু থেকেই একই অবস্থানে আছে—ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে এবং সেটি ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।

প্রেস সচিব বলেন, আপনি যেমন চা স্টলে যান, আমিও যাই। আমি গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে একটানা ভিজিট করছি। আজ মাগুরা যাচ্ছি, কাল নোয়াখালী, পরশু হালুয়াঘাট, তার পরদিন ময়মনসিংহ—সব জায়গায় যাচ্ছি। আমি দেখছি নির্বাচনের হাওয়া বইছে, সর্বত্র প্রচারণা চলছে। মাগুরায় গিয়েছিলাম, সেখানে প্রায় ১০ মিনিট আটকে ছিলাম বিশাল মিছিলে—এত বড় মিছিল ছিল!

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের কোনো অনিশ্চয়তা নেই। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখন অনেক ভালো। দু-একটি ঘটনা চট্টগ্রামে ঘটেছে ঠিকই, তবে পুলিশের আপডেট অনুযায়ী সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন অনেক বেটার।

আরও পড়ুন: এক ইঞ্চিও ছাড় দেবে না সরকার: প্রেস সচিব

শফিকুল আলম বলেন, আগে মব ভায়োলেন্স ছিল, এখন আর নেই। তা দৃঢ়ভাবে দমন করা হয়েছে। এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন, যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। হয়তো তারা পূর্বাচলে প্লট পেয়েছেন বা তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। কেউ কেউ সেই সময় সুখে-শান্তিতে ছিলেন। তবে এখন নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই—ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।

বিএনপি ও জামায়াতের সাম্প্রতিক ফোনালাপের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এখনো তাদের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য শুনিনি। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে ফোন করা হয়েছে, তবে এ বিষয়ে এখনো আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পাইনি।

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোই ক্ষমতায় থাকবে, নির্দিষ্ট সময় পরে তারাই আবার ক্ষমতায় আসবে। আগামী ১০০ বছর রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকুক—এটাই আমরা চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে রাজনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, সেখান থেকে বাংলাদেশ উত্তরণ ঘটাবে। গণতন্ত্র এই দেশে আরও শক্ত ভিত্তি পাবে।

অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন সক্রিয়ভাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে।

ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের বিরুদ্ধে ৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি পতিত সরকারের প্রচারণা। যারা তাদের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, তারাই এই ভুয়া কথা ছড়াচ্ছে। কিছু মিডিয়াও এতে সহযোগিতা করছে।

জেলা ও মফস্বল সাংবাদিকদের বেতন-ভাতার বিষয়ে তিনি বলেন, বড় বড় মিডিয়ার মালিক ও সম্পাদকরা সেমিনারে বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের অর্থ দেন না। কার্ড দিয়ে ‘করো খাও’ বলেই কাজ শেষ। তবে সাংবাদিক ইউনিয়ন সম্প্রতি ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবিতে সরব হয়েছে—এটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।

শেষে প্রেস সচিব পুনরায় বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। কোনো শক্তি এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। গণতন্ত্র এখন বাংলাদেশের মাটিতে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়