News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ১১ নভেম্বর ২০২৫

এবার পাকিস্তানে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১২

এবার পাকিস্তানে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১২

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনাক্রম শেষ হবার আগেই পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকায় জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের সংলগ্ন একটি যাত্রীবাহী গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলটি ছিল অত্যন্ত ব্যস্ত এলাকা, যেখানে সাধারণ মানুষ, আইনজীবী ও মামলার পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বিস্ফোরণের পরপরই আদালত ভবনটি দ্রুত খালি করা হয় এবং আদালতের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। আহত ও নিহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর জন্য রাজধানীর পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘটনার পর ইসলামাবাদ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, প্রধান কমিশনার এবং ফরেনসিক টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, নিরাপত্তা বেষ্টনীর পেছনে দগ্ধ একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। 

আরও পড়ুন: দিল্লির লাল কেল্লায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ, নিহত ৮

প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী রুস্তম মালিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আমি গাড়ি পার্ক করে কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকতেই গেটে বিকট শব্দ শুনি। বিস্ফোরণের পর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, মানুষ দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে। গেটের কাছে দুটি মৃতদেহ পড়ে ছিল এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ এই হামলাকে দেশের জন্য একটি ‘সতর্কবার্তা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। 

তিনি বলেন, আমরা এখন যুদ্ধের অবস্থায় আছি। যারা মনে করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুধুমাত্র আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত ও বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকায় যুদ্ধ করছে, তাদের জন্য ইসলামাবাদে জেলা আদালতে আজকের আত্মঘাতী হামলা হলো একটি জাগ্রত হওয়ার বার্তা।

প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি হামলাকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হিসেবে নিশ্চিত করেছেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

উল্লেখ্য, এই হামলা দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনার পর একদিনের মধ্যেই ঘটে, যেখানে ৯ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হন।

পাকিস্তান ও ভারতের রাজধানীতে এই ধরণের বোমা হামলার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ উদ্বেগ তৈরি করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও তদন্তকারী দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়