News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ১১ নভেম্বর ২০২৫

তরুণদের সচেতন করতে আইওএমের মানব পাচার বিরোধী প্রচারণা

তরুণদের সচেতন করতে আইওএমের মানব পাচার বিরোধী প্রচারণা

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

বাংলাদেশে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করা, মানব পাচার প্রতিরোধ এবং পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। 

এরই ধারাবাহিকতায় কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)-এর অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আইওএম বাংলাদেশ দেশের চারটি মানব পাচারপ্রবণ জেলা—ঢাকা, কক্সবাজার, যশোর ও সাতক্ষীরায়—বিস্তৃত সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।

‘বাংলাদেশে মানব পাচার প্রতিরোধে একটি সমন্বিত প্রকল্প’-এর আওতায় পরিচালিত এই উদ্যোগে মোট ২৫০টি ভিডিও শো ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে তরুণ ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসন ও মানব পাচারের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ অভিবাসনের আচরণগত পরিবর্তন উৎসাহিত করাই মূল লক্ষ্য।

আইওএম জানায়, প্রতিটি ভিডিও শো ও আলোচনার উদ্দেশ্য হলো অংশগ্রহণকারীদের অনিরাপদ অভিবাসনের নেতিবাচক পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করা, নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া ও বিদ্যমান সেবা-সহায়তা ব্যবস্থার বিষয়ে অবহিত করা, এবং অভিবাসী ও পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে তথ্য প্রদান।

আরও পড়ুন: মানব পাচার ও নিরাপদ অভিবাসন সচেতনতায় আইওএমের ভিডিও প্রচারণা

সংস্থাটি আরও জানায়, মানব পাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন এখনো বাংলাদেশে বড় ধরনের সামাজিক চ্যালেঞ্জ। এই প্রচারণার মাধ্যমে আইওএম স্থানীয় জনগণকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও বাস্তব দিকনির্দেশনা প্রদান করছে, যাতে তারা সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং পাচারের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

প্রতিটি অধিবেশনে শুধু তথ্য বিনিময়ই নয়, বরং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মানব পাচার প্রতিরোধে ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রতিশ্রুতি জাগিয়ে তোলা হয়। প্রতিটি অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে মানব পাচার প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিজ্ঞা করেন।

এই ভিডিও শোগুলো স্থানীয় প্রশাসন, তৃণমূল সংগঠন ও কমিউনিটি নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে, যাতে ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় এবং কার্যক্রমের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়।

বাংলাদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে আইওএম সচেতনতা ও সংহতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চায়—যা অভিবাসীদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আইওএম বাংলাদেশ জানায়, এই প্রচারণা বাংলাদেশের সরকারের মানব পাচার নির্মূল এবং অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার আইওএম-এর চলমান প্রতিশ্রুতির অংশ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়