আরও সাড়ে চার মাস ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা প্রয়োগে সেনাবাহিনী
ফাইল ছবি
দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও সাড়ে চার মাস বাড়িয়েছে সরকার। একইসঙ্গে কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রেষণে থাকা সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব কর্মকর্তা সারা দেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পর সরকারের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়।
পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের প্রয়োজনে তা একাধিক ধাপে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ পর্যায়ে মেয়াদ আরও সাড়ে চার মাস বৃদ্ধি করা হলো।
আরও পড়ুন: ককটেল বিস্ফোরণে রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিশেষ দায়িত্ব পালন এবং মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় জোরদারের লক্ষ্যে এই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮’-এর নিম্নলিখিত ধারাগুলোর অধীনে অপরাধ বিবেচনায় নিতে ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন— ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২।
এসব ধারার আওতায় মূলত জনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা, এবং প্রশাসনিক তৎপরতা কার্যকর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সেনাবাহিনীকে প্রদত্ত এই বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রতিবার নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নবায়ন করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই নির্বাচনপূর্ব আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী মাঠে বিচারিক বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে কিনা, তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে আলোচনা চলছে। তবে নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হলে সেনাবাহিনীকে ধীরে ধীরে ব্যারাকে ফেরানোর পরিকল্পনার কথাও জানা গেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








