মোহাম্মদপুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার
মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ সাব্বির। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে আহমেদ সাব্বির (২৭) নামে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাব্বিরকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাব্বিরের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি এলাকায়। তিনি সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে চন্দ্রিমা মডেল টাউনের ১০ নম্বর রোড, বি-ব্লকের একটি বাসায় থাকতেন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ জানান, নিহত সাব্বিরসহ আরও ৩–৪ জন ওই বাসায় থাকতেন। সকালে সবাই নিজের কাজের জন্য বেরিয়ে যান। পরে সাব্বিরের রুমের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতু্যু বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বলা যাচ্ছে না এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা; তদন্ত চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক সহকর্মী এবং ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ জানান, সাব্বিরকে হাত-পা বাঁধা ও মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে ভাইরাল ছিনতাইয়ের মূল হোতা ও ৩ সহযোগী গ্রেফতার
তিনি বলেন, আমরা মনে করি এটি পরিকল্পিত হত্যার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা এক বাসা অতিথি, সোহেল, জানান, সোমবার বাসায় এসে সকালের নাশতা আনতে তাকে বলা হয়েছিল। নাশতা নিয়ে ফিরে আসার পর দেখেন সাব্বির দরজা খুলছেন না। পরে আকাশ নামে রাজনৈতিক সহকর্মী দরজা ভেঙে সাব্বিরকে ফ্লোরে হাত বাঁধা অবস্থায় ও ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রশি দিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ফ্যানের রশি ছিঁড়ে গেছে এবং গলায় দাগ রয়েছে।
সাব্বিরের বড় ভাই আব্দুল আজিজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। লাশ উদ্ধার হয়েছে শুনে এসেছি। কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। সাব্বির একাই মোহাম্মদপুরে থাকত। পরিবারের সবাই যাত্রাবাড়ি এলাকায় থাকি। পড়াশোনা শেষে হোটেল ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রি নিয়ে কিছুদিন চাকরিও করেছে।
ওসি কাজী রফিক আহমেদ আরও জানান, শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে হাত বাঁধা ছিল এবং গলায় দাগ রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
নিহতের মৃত্যুতে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক সহকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং নিহত সাব্বিরের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কাজ করছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








