News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

থাইল্যান্ডে নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন, দুই বছরে তৃতীয় নেতা

থাইল্যান্ডে নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন, দুই বছরে তৃতীয় নেতা

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, আদালতের হস্তক্ষেপ ও নেতৃত্ব পরিবর্তনের মধ্যে এবার নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল থাইল্যান্ড। প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও ভূমজাইথাই পার্টির নেতা আনুতিন চার্নভিরাকুল দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটে আনুতিন পান ৩১১ ভোট। 

তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফেউ থাই পার্টির প্রার্থী চাইকাসেম নিতিসিরি পান ১৫২ ভোট। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে প্রয়োজন ছিল ২৪৭ ভোট। ভোটদানে বিরত থাকেন ২৭ জন সদস্য। ফলে সহজ ব্যবধানেই আনুতিন জয়ী হন। এখন রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করবেন।

এ নিয়ে মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী বসলেন। সম্প্রতি সাংবিধানিক আদালতের রায়ে সীমান্ত বিরোধ মোকাবিলায় কম্বোডিয়ার সঙ্গে নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করা হয়। এরপর আনুতিনের দল ভুমজাইথাই সিনাওয়াত্রাদের ফেউ থাই জোট থেকে বেরিয়ে এসে নতুন নেতৃত্বে যায়।

৫৮ বছর বয়সী আনুতিন চার্নভিরাকুল একজন শীর্ষ ব্যবসায়ীও। তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে সবচেয়ে আলোচিত হন ২০২২ সালে গাঁজা আইনসিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি পূরণের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন

আনুতিনের ক্ষমতায় আসা সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে পরিবারটি থাই রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। তবে তাদের জনমুখী নীতির কারণে ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতান্ত্রিক অভিজাতদের সঙ্গে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। থাকসিন ও তার বোন ইংলাক দুজনই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যথাক্রমে ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন।

পেতংতার্নের অপসারণের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিদেশযাত্রা দেশজুড়ে নতুন আলোচনার জন্ম দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ব্যক্তিগত বিমানে দেশ ছাড়েন। 

পরে শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, চিকিৎসার জন্য তিনি দুবাই গেছেন। তবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আদালতের শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য দেশে ফিরবেন। ওই মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে আবারও কারাগারে যেতে পারেন।

থাইল্যান্ডে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটেনি। দেশটিতে প্রায়ই আদালতের হস্তক্ষেপ ও সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে নেতৃত্ব পরিবর্তন ঘটে আসছে। তাই আনুতিন সরকার কতটা স্থিতিশীলতা আনতে পারবে, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়