আগামী বছর স্পেসক্রাফট তৈরি করবে চীন
ছবি: সংগৃহীত
চীনের নতুন মালবাহী মহাকাশযান ‘ছিংচৌ’-এর উন্নয়ন দ্রুত এগোচ্ছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি পরীক্ষা শেষ করে যানটি এখন সমন্বিত পরীক্ষার পর্যায়ে পৌঁছেছে।
যানটি তৈরি করছে চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ইনোভেশন একাডেমি ফর মাইক্রো-স্যাটেলাইটস বিভাগ। চীনের স্পেস স্টেশনে সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার খরচ কমানোর লক্ষ্যে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
চলতি বছরের জুনে নকশা পাসের পর প্রোটোটাইপটি প্রাথমিক নির্মাণ পর্বে যায়। ২০২৬ সালের শুরুতেই পূর্ণাঙ্গ ইঞ্জিনিয়ারিং মডেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
প্রোটোটাইপটির ব্যাস ৩ দশমিক ৩ মিটার, ওজন ৫ টন, বহনক্ষমতা এক দশমিক ৮ টন। নকশায় রয়েছে একটি সিল করা মডিউল ও একটি খোলা অংশ।
আরও পড়ুন: অবিক্রীত সব মোবাইল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত করবে বিটিআরসি
চাপ-নিয়ন্ত্রিত সিল অংশে রাখা হবে নভোচারীদের সরঞ্জাম ও নিখুঁত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। বাইরের খোলা অংশে বসানো যাবে বিভিন্ন পে-লোড ও পরীক্ষামূলক সরঞ্জাম।
চীনের স্পেস স্টেশন এখন পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারের ধাপে প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় মালবাহী যানবাহনের চাহিদাও বাড়ছে।
এক-মডিউল বিশিষ্ট যানটি স্থানের যথোপযুক্ত ব্যবহারেও বেশ কার্যকর। ভেতরে রয়েছে চারটি কার্গো র্যাক— যেখানে ৪০টি স্টোরেজ কম্পার্টমেন্টে মোট ২৭ ঘনমিটার জায়গায় সংরক্ষণ করা যাবে খাদ্যপণ্য, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও গবেষণা পে-লোড। অ্যাস্ট্রোনটদের খাবার ও সংবেদনশীল জৈব নমুনা ঠান্ডা রাখতে থাকছে পাঁচটি ৬০- লিটারের কোল্ড-চেইন ইউনিট।
ছিংচৌ স্পেসক্রাফট দু’মুখী লজিস্টিকসের জন্য নকশা করা হয়েছে। এটি পৃথিবী থেকে জিনিসপত্র নিয়ে স্পেস স্টেশনে যেতে পারবে এবং ফিরে আসতে পারবে প্রায় ২ টন বর্জ্য নিয়ে।
সূত্র: সিএমজি
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএএইচ/এনডি








