News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

এনইআইআর পদ্ধতি নিয়ে বাজারের অপতথ্য যাচাইয়ের আহ্বান এমআইওবির

এনইআইআর পদ্ধতি নিয়ে বাজারের অপতথ্য যাচাইয়ের আহ্বান এমআইওবির

ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল ফোনে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রেশন (এনইআইআর) ব্যবস্থা ঘিরে বাজারে ছড়ানো ‘অপতথ্য’ যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে মোবাইলফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)।

সংগঠনটির দাবি, এনইআইআর চালু না হলে দেশের রফতানিমুখী মোবাইল শিল্প টিকবে না; আর চালু হলে মোবাইলের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয় উৎপাদকরা।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান তুলে ধরে এমআইওবি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মোবাইল ফোন ডিস্ট্রিবিউটর ও খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এমআইওবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৯ সালে মোবাইল আমদানিতে আরোপিত ৫৭ শতাংশ শুল্ক-কর কমানোর বিষয়ে সরকার কাজ করছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাহুল কাপুরিয়া অভিযোগ করেন, বিপণন ব্যবস্থায় লাখো মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে, অথচ আবেগকে কেন্দ্র করে এনইআইআর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তার দাবি— দেশের বাজারে এখন ব্যবহৃত ৯৫ শতাংশ ফোনই বৈধ চ্যানেলে আসে।

এমআইওবি সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, স্থানীয় উৎপাদকদের সুরক্ষায় আমদানি ও উৎপাদনে কর কাঠামো একই হতে পারে না। এনইআইআর চালু হলে ভোক্তা সুরক্ষা বাড়বে এবং চোরাই মোবাইলের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ কমবে। প্রবাসীরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরও স্মার্ট ও নির্ভুল হলো গুগল ক্রোমে অটোফিল সুবিধা

সংগঠনের সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগ, যারা শিল্পের ওপর ‘কর ফাঁকি’ বা ‘সিন্ডিকেট’ অভিযোগ তুলছেন, বাস্তবে পরিস্থিতি তার উল্টো। “আমরা একটি সম্ভাবনাময় রফতানি খাত গড়ে তুলছি। এনইআইআর বাস্তবায়ন বিলম্বিত হলে এ শিল্পের অপমৃত্যু ঘটবে,” বলেন তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে এমআইওবি কোষাধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি (বিসিএস) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “মিস ও ডিস-ইনফরমেশনের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো তথ্য এখন যাচাই করার সময় এসেছে।”

সংগঠনটি আরও জানায়, গ্রে চ্যানেল আসা ফোনের প্রবেশ বন্ধ হলে ভোক্তারা অফিসিয়াল পিআই মূল্যের চেয়ে কম দামে প্রিমিয়াম মডেল কেনার সুযোগ পাবেন। এছাড়া আন্দোলনকারীদের ব্যবসা সুরক্ষায় ১০ শতাংশ কমিশন দেওয়ার প্রস্তাবও রাখা হয়। বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার মোবাইল ডিভাইস বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে, যার ৯০ শতাংশই এমআইওবির সঙ্গে কাজ করে বলে দাবি সংগঠনের।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএএইচ/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়