ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় কি রাখবেন, কি রাখবেন না
ছবি: কোলাজ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আঁশযুক্ত, কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) যুক্ত খাবার যেমন - শাক-সবজি, ডাল, আস্ত শস্য (লাল চাল, ওটস, বার্লি), চর্বিহীন প্রোটিন (মাছ, মুরগি), স্বাস্থ্যকর চর্বি (বাদাম, অ্যাভোকাডো) এবং মিষ্টি ছাড়া ফল (বেরি, আপেল) উপকারী; যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
খাওয়া উচিত এমন খাবার
- শাক-সবজি: পালং শাক, ব্রোকলি, ফুলকপি, শসা, টমেটো, গাজর, লাউ ইত্যাদি।
- আস্ত শস্য: লাল চাল, ওটস, বার্লি, ব্রাউন রাইস, রাগি।
- ডাল ও লেগিউম: মসুর ডাল, ছোলা, রাজমা, মটরশুঁটি।
- প্রোটিন: চর্বিহীন মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, টক দই (কম ফ্যাটযুক্ত)।
- ফল (সীমিত পরিমাণে): বেরি, আপেল, পেয়ারা, জাম, কমলা, অ্যাভোকাডো (অতিরিক্ত পাকা কলা, আম, আনারস এড়িয়ে চলুন)।
- স্বাস্থ্যকর চর্বি: বাদাম, বীজ (চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড), অলিভ অয়েল।
- দুধ ও দুগ্ধজাত: ফ্যাট-ফ্রি বা লো-ফ্যাট দুধ, টক দই।
যেসব ৫ খাবার অজান্তেই কিডনির ক্ষতি করে
যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন বা সীমিত করবেন
- চিনি ও মিষ্টি: সফট ড্রিংকস, জুস, মিষ্টি, চকলেট।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত খাবার, অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার।
- সাদা শস্য: সাদা চাল, সাদা আটা বা ময়দার তৈরি খাবার।
- অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার: ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
- খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ান, যা রক্তে শর্করার শোষণকে ধীর করে।
- একবারে বেশি না খেয়ে সারাদিন অল্প অল্প করে খান।
- খাবার পরিকল্পনায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বির সঠিক ভারসাম্য রাখুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার তালিকা তৈরি করুন। কারণ প্রত্যেকের প্রয়োজন আলাদা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








