মরক্কোয় দুটি চারতলা আবাসিক ভবন ধসে নিহত ২২
ছবি: সংগৃহীত
মরক্কোর অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন শহর ফেজে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি চারতলা আবাসিক ভবন ধসে কমপক্ষে ২২ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এমএপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে বা বুধবার ভোরের মধ্যে শহরের পশ্চিমে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা আল-মুস্তাকবাল পাড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ধসে পড়া ভবন দুটিতে মোট আটটি পরিবার বসবাস করত। ফেজ প্রিফেকচারের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং বেসামরিক সুরক্ষা শাখার সদস্যরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আহতদের জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ফেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে এবং উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।
ভবন ধসে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারিয়ে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি বুধবার ভোরে স্থানীয় মেডি১ টিভিকে জানান, উদ্ধারকারীরা একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও তিনি এখনও অন্যদের জন্য অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: মস্কোর কাছে রুশ সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৭
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসএনআরটির প্রতিবেদনে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি এবং দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্প্রচার সংস্থা এসএনআরটি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ধসে যাওয়া ভবনগুলোতে বেশকয়েকদিন ধরে ফাটল দেখা যাচ্ছিল এবং সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মরক্কোর সাবেক রাজধানী এবং দেশের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর ফেজে, দুই মাস আগে অবনতিশীল জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং দুর্বল জনসেবা প্রদানের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, মরক্কোতে ভবন ধসের ঘটনা নতুন নয়। এরআগে ২০১০ সালে ঐতিহাসিক উত্তরাঞ্চলীয় শহর মেকনেসে একটি মিনার ধসে ৪১ জন নিহত হন। দেশের গৃহায়ন সচিব আদিব বেন ইব্রাহিম গত জানুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, সারা দেশে প্রায় ৩৮ হাজার ৮০০ ভবন ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৩ সালে বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর মারাকেশ ও আশপাশের এলাকায় বারো হাজারেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়, কারণ ওই ভূমিকম্পে অনেক স্থাপনার কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








