আইজিপি বাহারুলকে বরখাস্ত ও গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ফাইল ছবি
২০০৯ সালের পিলখানার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিডিআর) সদর দপ্তরে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর, বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকে বরখাস্ত ও গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দাখিল করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং আইজিপি বাহারুল আলমকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটের দ্রুত শুনানি হতে পারে বলে রিটকারী আইনজীবী জানান।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার পিলখানায় বিডিআরের সদর দপ্তরে ঘটে যায় এক রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহ। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা সহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। ওই সময় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) নেতৃত্বে ছিলেন বাহারুল আলম।
আরও পড়ুন: সজীব ওয়াজেদ জয়কে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি
হত্যাকাণ্ডের দেড় দশক পর, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি উত্থাপন করেন। পরে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর, জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।
নির্ধারিত সময়ে, কমিশন ৩০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলমের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর, আইজিপি বাহারুল আলমকে অপসারণ করতে সরকারের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। একই দিনে সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবী প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং আইন সচিবকে নোটিশ পাঠান।
এই রিটের মাধ্যমে আদালতের কাছে মূল দাবি হচ্ছে: পিলখানার হত্যাকাণ্ডে আইজিপি বাহারুল আলমের ভূমিকা যাচাই করে তার বরখাস্ত ও গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








