News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:০০, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

অবরোধের ছয় ঘণ্টা পর মুক্ত অর্থ উপদেষ্টা

অবরোধের ছয় ঘণ্টা পর মুক্ত অর্থ উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয় ভাতা দাবিতে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে টানা ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের নিরাপত্তায় সচিবালয় ত্যাগ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তিন থেকে চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ে জড়ো হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় তলায় উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। তারা হ্যান্ডমাইকে স্লোগান দিয়ে ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতা প্রদানের দাবি জানান।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট সচিবালয়ে প্রবেশ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বাঁশি বাজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে কর্মচারীরা বাধা দেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয় এবং স্লোগান আরও তীব্র হয়।

রাত ৮টার পর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার মধ্যে সচিবালয় ভাতার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এ আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এবং অর্থ উপদেষ্টা পুলিশি নিরাপত্তায় সচিবালয় ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন: ‘তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর’

কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তারা অতিরিক্ত সময় কাজ করলেও কোনো ওভারটাইম সুবিধা পান না। সন্ধ্যার পরও রাত ৮-৯টা পর্যন্ত জরুরি ফাইল ও নীতি-নির্ধারণী কাজ করতে হয়, কিন্তু অতিরিক্ত শ্রমের জন্য কোনো আর্থিক সুবিধা নেই।

তাদের দাবি, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে অতিরিক্ত ভাতা চালু রয়েছে। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তারা ঝুঁকি, গোপনীয়তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপ সত্ত্বেও কোনো ভাতা পান না।

সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি বাদিউল কবির আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। 

সন্ধ্যায় তিনি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, দুদক আমাদের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তারা হোয়াটসঅ্যাপে জিও জারি করেছে। সচিবালয় ভাতার জিও ছাড়া আমরা এখান থেকে এক কদমও নড়বো না।

কর্মচারীরা জানান, জাতীয় প্রেসক্লাব-সচিবালয় এলাকা দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ও পেশাজীবী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতিদিনই তারা বাড়তি ঝুঁকি ও চাপের মধ্যে কাজ করেন। অতিরিক্ত সময়, গোপনীয়তা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব ও বিশেষ ব্যয়ের কারণে সচিবালয় ভাতা চালু করা অত্যন্ত যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়