News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:১১, ৭ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা অ্যাপলের

যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা অ্যাপলের

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়াতে আগামী কয়েক বছরে অতিরিক্ত ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এটি প্রতিষ্ঠানটির পূর্ববর্তী চার বছরের ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির ওপর নতুন সংযোজন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক চাপ ও অর্থনৈতিক নীতির প্রভাবে এই ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। 

ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যদি অ্যাপল তাদের আইফোন উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে সরায় না, তবে পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে।

অ্যাপলের সিইও টিম কুক এক ভাষণে জানান, তারা ইতিমধ্যেই পূর্বের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন শুরু করেছে এবং আরও বড় মাপের বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যুক্তরাষ্ট্রেই উৎপাদিত হবে। মিশিগানে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং একাডেমি’ গঠন ও মার্কিন খনিজ সরবরাহকারী এমপি ম্যাটেরিয়ালস থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ কেনার প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলা হয়, অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণের পাশাপাশি কেন্টাকির হ্যারিসবার্গে স্মার্ট গ্লাস উৎপাদন লাইন স্থাপন করবে।

আরও পড়ুন: কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য ‘কোলাবরেশন’ ফিচার আনছে ইউটিউব

ট্রাম্প বলেন, অ্যাপলের এই উদ্যোগ চিপ ও সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নির্ধারিত ১০০ শতাংশ শুল্ক থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। অন্য কোম্পানিগুলোকেও একই সুবিধা পেতে হলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে হবে।

বিবিসি ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, অ্যাপলের বেশিরভাগ পণ্য এখনো চীনে তৈরি হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া শুল্ক যুদ্ধ ও ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাসে বাধ্য হচ্ছে। তারা ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে নতুন উৎস থেকে পণ্য এনে শুল্ক কমানোর চেষ্টা করছে।

তবে এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির কারণে তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) অ্যাপল ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি শুল্ক দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও ১.১ বিলিয়ন ডলার শুল্ক দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

এপ্রিলেই হোয়াইট হাউস কিছু ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় দিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধির ফলে অ্যাপল নতুন চাপের মুখে পড়েছে।

অ্যাপলের এই নতুন বিনিয়োগ ঘোষণা প্রকাশের পর পরদিন তাদের শেয়ারের দাম ৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়। 

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যাপলের এই অঙ্গীকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির সফলতার প্রমাণ, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়