কয়েকদিনের মধ্যেই ১ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর

চলতি মাসেই ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বিতীয় দলটি পাঠানো হবে। রোববার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। যদিও মানবাধিকার গ্রুপগুলো ভাসানচরে স্থানান্তর না করার অঅহ্বান জানিয়ে আসছে। খবর রয়টার্স।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত দুজন কর্মকর্তা বলেছেন, এ মাসের প্রথম দিকে ১৬শরও বেশি রোহিঙ্গাকে স্থনান্তরের পর আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় এক হাজার শরণার্থীকে দ্বীপে পাঠানো হবে।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রথমে তাদের চট্টগ্রামে আনা হবে। এর পর নেয়া হবে ভাসানচর। এটা জোয়ারের ওপর নির্ভর করছে।”
বিষয়টি প্রকাশ হয়নি বলে নাম উল্লেখ করতে রাজি হননি ওই কর্মকর্তা।
এ স্থানান্তর স্বেচ্ছায় হচ্ছে উল্লেখ করে উপ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামসুদ্দৌজা বলেন, “ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের পাঠানো হবে না।”
জাতিসংঘ বলছে, বঙ্গোপসাগরের একটি বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপ ভাসানচরের প্রযুক্তিগত ও সুরক্ষা মূল্যায়ন করার অনুমতি দেয়া হয়নি এবং সেখানে শরণার্থীদের স্থানান্তরে জড়িত ছিল না সংস্থাটি।
বাংলাদেশ বলছে, কেবলমাত্র যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে এবং এই পদক্ষেপের ফলে শিবিরগুলিতে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার দীর্ঘস্থায়ী ভিড় কমবে।
তবে রোহিঙ্গা ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ২০ বছর আগে সমুদ্র থেকে উত্থিত দ্বীপটিতে যেতে রোহিঙ্গাদের কিছু লোককে বাধ্য করা হয়েছিল।
চলতি মাসের প্রথম দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন রয়টার্সকে বলেছিলেন, “ভাসানচর নিয়ে মূল্যায়নের আগে জাতিসংঘের মূল্যায়ন ও যাচাই করা উচিত, শরণার্থী প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ কতটা সহায়ক ছিল।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ