ফ্রিল্যান্সারদের গণ্ডি পেরিয়ে কর্পোরেট স্টাফিংয়ে যাচ্ছে আপওয়ার্ক

ছবি: ইন্টারনেট
ফ্রিল্যান্সার ও কোম্পানির মধ্যে সংযোগ তৈরির জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্ক তাদের মার্কেট বিস্তৃত করার লক্ষ্যে কর্পোরেট স্টাফিং খাতে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে। এই উদ্দেশ্যে তারা দুটি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে একটি নতুন, স্বাধীনভাবে পরিচালিত এন্টারপ্রাইজ-কেন্দ্রিক ব্যবসা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে।
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা বাবটি নামের একটি ওয়ার্কফোর্স ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম অধিগ্রহণ করেছে এবং অ্যাসসেন নামের একটি বৈশ্বিক কমপ্লায়েন্স ও এমপ্লয়ার অব রেকর্ড কোম্পানি অধিগ্রহণের জন্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এই ঘোষণাটি এসেছে কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, যা ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এই দুটি কোম্পানিকে আপওয়ার্ক তাদের বিদ্যমান এন্টারপ্রাইজ বিভাগে একীভূত করবে এবং এর অধীনে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ব্যবসায়িক সত্তা হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
চ্যাট জিপিটিতে আসছে ৬ বড় পরিবর্তন
এই পদক্ষেপটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ফলে আপওয়ার্ক কেবলমাত্র ফ্রিল্যান্স কনট্রাক্টরের সীমানায় আবদ্ধ থাকবে না; বরং কর্পোরেট স্টাফিং মার্কেটের নতুন ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে। নতুন এই ইউনিটের মাধ্যমে এজেন্ট অব রেকর্ড, এমপ্লয়ার অব রেকর্ড এবং স্টাফ অগমেন্টেশন এর মতো বিভিন্ন কনট্রাক্ট টাইপেও সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
আপওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ও সিইও হেইডেন ব্রাউন বলেন, আমাদের বিদ্যমান এন্টারপ্রাইজ ক্লায়েন্টরা ক্রমশ এই ধরণের ট্যালেন্ট পুলের একসেস চাচ্ছিলেন, তাই সময়টাও ছিল একদম সঠিক।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে বেশিরভাগ প্রোভাইডারই গ্রাহকদেরকে বাধ্য করে একটা কিছু ত্যাগ করতে— হয় কমপ্লায়েন্স নেবেন, না হয় ফ্লেক্সিবিলিটি; হয় স্পিড, না হয় স্কেল; হয় ডিজিটাল টুল, না হয় শক্তিশালী এন্টারপ্রাইজ সলিউশন। কিন্তু আমরা এই নতুন ক্ষমতার মাধ্যমে কোনোকিছু ত্যাগ করছি না। আমরা আমাদের গ্রাহকদের সব সুবিধাই দিতে চাই, এবং তারা খুব স্পষ্টভাবেই বলেছেন, তারা এমন একটি একক সমাধান চান।”
ব্রাউন জানান, আপওয়ার্কের বর্তমান এন্টারপ্রাইজ ব্যবসা থেকে বছরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়, যা তাদের মোট ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের রেভিনিউর অংশ।
তিনি আরও বলেন, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় যেভাবে কাজ করা যায়, বড় এন্টারপ্রাইজগুলোর ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স ও সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেশনের চাহিদা একদম আলাদা। এ কারণেই এই নতুন ইউনিটকে আলাদা রাখা হচ্ছে, যাতে বাইরের দিক থেকে ব্র্যান্ডিং ও ভেতরের দিকে ফোকাস—দুটোই সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আপওয়ার্ক ১০০টিরও বেশি সম্ভাব্য কোম্পানিকে মূল্যায়ন করে, এবং শেষ পর্যন্ত বাবটি ও অ্যাসসেনকে নির্বাচন করে। কারণ এদের আলাদা যোগ্যতার পাশাপাশি একসাথে কাজ করার সামর্থ্যও রয়েছে। আপওয়ার্ক দুটি কোম্পানির প্রযুক্তি পৃথকভাবে ও যৌথভাবে পরীক্ষা চালিয়েছিল।“
সেই পাইলট প্রকল্পেই আমরা দেখতে পেয়ছি, তাদের প্রযুক্তি কতটা কার্যকর এবং কত সহজে এই দুইয়ের সেবা আমাদের বিদ্যমান অফারিংয়ের সাথে যুক্ত করে বাজারে একেবারে নতুন ও উদ্ভাবনী কিছু উপস্থাপন করা যায়, বলেন ব্রাউন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি