‘ফেলানীর পরিবার চাইলে পুনর্বিচার হবে’
বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের পরিবারের সঙ্গে বিজিবি দেখা করে জানতে চাইবে, তার পরিবার নতুন বিচারক দিয়ে নতুন করে বিচার চান কি না। ফেলানীর পরিবারের সেই মতামত বিএসএফকে জানিয়ে দেবে বিজিবি।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
ওই সম্মেলনেই বিএসএফের মহাপরিচালক ডি কে পাঠক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দুই বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এই বার্ষিক সম্মেলনে ফেলানী প্রসঙ্গ আলোচিত হয়নি। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৪১ তম সম্মেলনটি আজ শেষ হয়।
সম্মেলন শেষে প্রথাগত যৌথ সাংবাদ ব্রিফিংয়ে ফেলানী প্রসঙ্গটি ওঠে। বিজিবি মহাপরিচালক বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, অমিয় ঘোষের দ্বিতীয়বারের মতো বিচার এখনো বিএসএফের মহাপরিচালকের অনুমোদন পায়নি। কাজেই প্রসঙ্গটি এখনো বিচারাধীন। সেই কারণে এই সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি আলোচিত হয়নি।
মেজর জেনারেল আহমেদ জানান, তা সত্ত্বেও তারা ফেলানী প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। স্থির হয়েছে, বিচার শেষে রায় নিয়ে প্রচারমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে, তাতে ফেলানীর পরিবারের কী অভিমত বিজিবি তা জানতে চাইবে। যদি তারা অখুশি হন ও অন্য বিচারপতিদের দিয়ে নতুন করে বিচার চান, তা হলে সেই কথা বিজিবি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে জানিয়ে দেবে।
পাঁচদিনের এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল, দুদেশের যৌথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে এনে নানা ধরনের সীমান্ত অপরাধের মোকাবিলা করা। এ ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে অগ্রগতি হয়েছে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা, আস্থা, বিশ্বাস আরও বেড়েছে বলে দুই মহাপরিচালক দাবি করেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সীমান্ত অপরাধ রুখতে একটা নতুন দল ‘কুইক রিঅ্যাকশন টিম’ গড়া হয়েছে। যৌথ টহলদারির পাশাপাশি এই টিমকেও সতর্ক রাখা হয় যাতে প্রয়োজনে চট করে ঘটনাস্থলে পাঠানো যায়। অপরাধ প্রবণতা কমাতে দুই বাহিনীই সীমান্ত এলাকার মানুষজনকে
প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে একটি কর্মসূচি নিয়েছে বলে জানানো হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








