News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৫০, ৬ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ১৬:৩১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ফুলছড়ির এক পরিবারে ২০ শিক্ষক!

ফুলছড়ির এক পরিবারে ২০ শিক্ষক!

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছডড়ি উপজেলার একই পরিবারে ২০জন শিক্ষক। ওই উপজেলার কঞ্চিপাড়া গ্রামের আলহাজ ফরিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে সাখাওয়াৎ হোসেন। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। শুধুই সাখাওয়াৎ নন, তার বাবা, চাচা, এক বোন আর চার ভাইও পেশায় শিক্ষক। ভাইয়ের স্ত্রীদের পেশাও শিক্ষকতা। এমনকি শ্বশুর-শাশুড়িরাও শিক্ষক।

বিভিন্ন ধর্মীয় ও পারিবারিক অনুষ্ঠান ছাড়াও এই শিক্ষক পরিবারের সবাই মাসে একবার বৈঠকে বসেন। এক পেশায় সবাই, রহস্যটা কী? সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ছোট বেলায় স্কুলে শিক্ষকদের পড়ানো দেখে মুগ্ধ হতাম। তখনই স্বপ্ন দেখি শিক্ষকতা করব। হয়েও গেলাম।

১৯৯৪ সালে সাখাওয়াৎ হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। ১৯৯৫ সালে তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাজী ওসমান গণি ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দেন। তার বাবা আলহাজ ফরিজ উদ্দিন সরকার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি অবসর নেন। পাঁচ ভাই দুবোনের মধ্যে সাখাওয়াৎ হোসেন দ্বিতীয়। সাখাওয়াৎ হোসেনের ভাই শফিকুল ইসলাম বর্তমানে কাইয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শফিকুলের স্ত্রী রওশন আরা বেগম কঞ্চিপাড়া সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক। শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিজে যা শিখেছি, তা শেখাতে পারছি।

সাখাওয়াৎ হোসেনের আরেক ভাই শহিদুজ্জামান ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম কঞ্চিপাড়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক। সবার ছোট শাহাদত হোসেন চর কৃঞ্চমণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শাহাদতের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা মধ্য কঞ্চিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ছোট বোন নিলুফা ইয়াসমিন কঞ্চিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নিলুফার স্বামী মাহমুদুল হক গাইবান্ধা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশিক্ষক। নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, আমি শিক্ষক পরিবারের মেয়ে। শিক্ষক পরিবারের ছেলের সঙ্গে সংসার করছি। ভালো লাগছে।

অপরদিকে মাহমুদুল হকের বাবা এনামুল হক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। মা দিলরুবা বেগম ২০১৪ সালে কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সদ্য অবসর নেন। মাহমুদুল হক বলেন, শিক্ষকেরা শিক্ষকের মর্যাদা বোঝেন। তাই খোঁজ নিয়েই আত্মীয়তা।

শুধু তা-ই নয়, সাখাওয়াৎ হোসেন ২০০২ সালে এক শিক্ষককে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী মাহবুবা জেসমিন ঝিনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁর শ্বশুর মুনছুর আলী সরকার তুলশীঘাট কাশীনাথ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অবসর নেন ২০১১ সালে। শাশুড়ি জাহানারা বেগম বিষ্ণুপুর এসএমবি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি অবসর নেন গত বছর।

সাখাওয়াৎ হোসেনের চাচা আলহাজ মজিবর রহমান গুনভড়ি দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মজিবর রহমানের তিন ছেলেই শিক্ষক। এর মধ্যে রহুল আমিন ও মাসুদুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অপর ছেলে কামরুল হাসান কলেজে শিক্ষকতা করেন। মাসুদুরের স্ত্রী হুজ্জাতুন নাহারও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়