তিন কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন
ফাইল ছবি
দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার স্পট মার্কেট থেকে তিনটি এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই তিনটি কার্গো আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১,৪৪২ কোটি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৮ টাকা।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এই তিনটি এলএনজি কার্গো ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম কার্গোটি ১৯-২০ অক্টোবর ২০২৫ সময়ের জন্য ৪২তম কার্গো হিসেবে আমদানি করা হবে। যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১১.৪৪ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯৬ টাকা।
দ্বিতীয় কার্গোটি ৬-৭ অক্টোবর ২০২৫ সময়ের জন্য ৪৩তম কার্গো হিসেবে আমদানি করা হবে। মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১১.৩৪ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৭৬ কোটি ৪৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২৪ টাকা।
আরও পড়ুন: পরিবর্তন হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নাম
তৃতীয় কার্গোটি ২৮-২৯ অক্টোবর ২০২৫ সময়ের জন্য ৪৪তম কার্গো হিসেবে আমদানি করা হবে। মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১১.৫৪ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৮৪ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ২৬৮ টাকা।
এই তিনটি কার্গো আমদানির মাধ্যমে মোট ১০.০৮ মিলিয়ন এমএমবিটিইউ এলএনজি দেশে আসবে। এই পদক্ষেপটি দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানির এই ব্যয় সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আগস্ট ২০২৫-এ একটি এলএনজি কার্গোর দাম ছিল ১২.৪৩ মার্কিন ডলার প্রতি এমএমবিটিইউ, যা পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে, এই তিনটি কার্গোর দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এই তিনটি এলএনজি কার্গো ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যা দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








