News Bangladesh

স্পোর্টস ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:২৫, ১ এপ্রিল ২০২৫
আপডেট: ২১:২৭, ১ এপ্রিল ২০২৫

রেফারিকে মারতে গিয়ে কারাতে লাথি খেলেন কোচ

রেফারিকে মারতে গিয়ে কারাতে লাথি খেলেন কোচ

ছবি: সংগৃহীত

ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে ফুটবল একটা খেলার চেয়েও বেশি কিছু। মাঠের খেলার আবেগ কখনো কখনো দর্শকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটে মারামারি থেকে শুরু করে অনাকাঙ্ক্ষিত সব ঘটনা। 

মাঠে রেফারির সঙ্গে কোচ, ফুটবলারদের দ্বন্দ্ব হরহামেশাই দেখা যায়। তবে রেফারির সঙ্গে মারামারি লেগেছে কোচের, এমন দৃশ্য খুব একটা দেখা যা না ফুটবল মাঠে। 

পেরুর একটি ফুটবল প্রতিযোগিতায় এমনই এক বিচিত্র দৃশ্যের দেখা মিলেছে। মাঠে তর্ক করতে এসে রেফারির লাথি খেয়েছেন কোচিং স্টাফের একজন সদস্য!

পেরুর রাজধানী লিমায় পেরু কাপের ম্যাচে সম্প্রতি ওই ঘটনা ঘটে। যে কারণে স্পোর্ত হুয়াকিয়া ও মাগদালেনার ম্যাচটি প্রায় শেষের পথে থাকলেও, ৮ মিনিট বাকি থাকতেই খেলা বাতিল করে দেওয়া হয়। ৮২ মিনিট পর্যন্ত স্বাগতিক হুয়াকিয়া ম্যাচে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল।

ম্যাচের শুরু থেকেই রেফারি লুইস আলেগ্রির বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল মাগদালেনা দলের অনেকেই। তবে এসবে কানে তোলেননি আলেগ্রি।

ম্যাচের ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল মাগদালেনা। এই সময়ে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় মাগদালেনা দলের কোচিং স্টাফের একজনের। হাতে বোতল নিয়ে রেফারিকে মারতে মাঠে ঢুকে পড়েন তিনি। 

আরও পড়ুন: সাকিবের মতো সবাইকে জানিয়ে অবসর নিতে চান না তাসকিন

অবস্থা বেগতিক দেখে রেফারি আলেগ্রি দৌড়ে দিয়ে আগেভাগেই ডান পায় দিয়ে ওই সদস্যের ঘাড়ে লাথি মারেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান কোচিং স্টাফের ওই সদস্য।

রেফারি লুইস অ্যালেগ্রির কারাতে কায়দায় মারা সেই লাথি লাগে মাগদালেনার কোচিং স্টাফটির ঘাড়ে। অবশ্য তাকে নাকি আগে থেকেই লাল কার্ড দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রেফারি। 

সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, সহকারী রেফারি বা লাইন্সম্যান মাগদালেনার ডাগআউটে থাকা কাউকে সতর্ক করছিলেন। 

তার ইঙ্গিত দেখে রেফারিও কার্ড দেখানোর জন্য হাতে নিয়েছিল। টিভি ফুটেজেও তেমনটাই দেখা যায়। যদিও পরে আর সেই কার্ড দেখানো হয়নি, শারিরীক আক্রমণেই মুহূর্তটা সামাল দিলেন রেফারি।

ওই ঘটনার পরই রেফারিকে বাঁচাতে মাঠে চলে আসে পুলিশ। কিছুক্ষণ সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল, একপর্যায়ে ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। 

আহত কোচিং স্টাফকে পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় রেফারি ও কোচ দুজনের বিরুদ্ধেই শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে পদক্ষেপ দেওয়া হতে পারে।

পেরুভিয়ান ফুটবলে অবশ্য এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ওয়েলিংটন স্মিথ প্রতিপক্ষের একজনকে কারাতে কিক মারায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। তাৎক্ষণিক সেই কার্ডের ঘটনায় সেই ফুটবলার পরে নিষেধাজ্ঞায় থাকেন ১৪টি ম্যাচে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়