মিরপুরে মুশফিকের শততম টেস্ট, ৯৯ রানে অপরাজিত
ছবি: সংগৃহীত
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে ইতিহাস গড়ে দিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এমন বিশেষ উপলক্ষ্যে ব্যাট হাতে নিজের স্বাভাবিক কৌশল ও অভিজ্ঞতা দেখিয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে দলের ইনিংস এগিয়ে নিতে নজরকাড়া ভূমিকা রেখেছেন।
দিনের শুরু থেকে ধীরস্থির ব্যাটিং করে মুশফিক ১০৯ বল খেলে তুলে নিয়েছেন দারুণ একটি ফিফটি। তার ব্যাটে শট বাছাই, পরিস্থিতি বোঝা এবং রান গড়ে তোলার নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ দেখা গেছে। ৭০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৬ রান, যেখানে মুশফিক অপরাজিত ৬৩ রানে ইনিংস ধরে রেখেছেন। দলের চাপে দাঁড়িয়ে এই ইনিংস দেশের ভরসার ব্যাটার হিসেবে তার মর্যাদা আরও নিশ্চিত করেছে।
অন্যপ্রান্তে মুমিনুল হকও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। তবে মুশফিকের ফিফটির কিছুক্ষণ পর ম্যাকব্রাইনের বলে বালবার্নির হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হন ৬৩ রানে। এখন মুশফিককে সঙ্গ দিতে ক্রিজে নেমেছেন লিটন দাস, যা বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসকে বড় করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: হেসেখেলে হংকংকে হারাল বাংলাদেশ
দলের প্রথম ১০০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। তবে মুশফিক-মুমিনুলের ১০৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি দলের ইনিংসকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়েছে। মুমিনুল দুইবার জীবন পেয়েও ৬৩ রানে আউট হন।
দিনশেষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২ রানে থামল। মুশফিক ৯৯ রানে অপরাজিত থাকলেও স্মরণীয় শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন রাত পোহানোর অপেক্ষা করছে ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটারের জন্য। যদি তিনি আগামীকাল এক রানের দূরত্ব ঘুচিয়ে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি পান, তবে বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়বেন।
আজকের ইনিংসের শেষ জুটি মুশফিক ও লিটনের। লিটন ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওপেনিংয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাদমান ইসলাম (৩৫) ও মাহমুদুল হাসান জয় (৩৪), তবে ত্রিশের ঘরে দুজনই আউট হন। মুমিনুল হক ৬৩ রানে আউট হওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গ দিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলের সংগ্রহ বাড়ান। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন।
মিরপুরের এই টেস্টে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে, সিলেটে প্রথম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ব্যবধানে হারানোর পর।
বিশেষ দিনটি উদযাপন করে আন্তর্জাতিক কিংবদন্তিরা মুশফিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আগামীকাল ব্যাটারকে আরেকটি স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার অপেক্ষা করছে, যেখানে তিনি শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসেও স্বর্ণাক্ষরে নাম লিখিয়ে ফেলতে পারেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








