News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ইসিকে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ রাজনৈতিক দলগুলোর

ইসিকে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ রাজনৈতিক দলগুলোর

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের সময়সূচি ঘনিয়ে আসায় রাজনৈতিক দলগুলো গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা ইসির প্রতি আস্থা বজায় রাখার পাশাপাশি বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হয়।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চতুর্থ দিনের সংলাপ আয়োজন করে। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোটার অন্তর্ভুক্তি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা বিষয়ে সুপারিশ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের আওতায় চলে আসবে। এ পরিস্থিতিতে আস্থা নিশ্চিত করতে ডিসি–এসপি বদলিতে লটারিভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণের প্রস্তাব দেন তারা। তবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় পরিষ্কার কোনো সমাধান এখনও পাওয়া যায়নি।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জোট করলেও দল যেন নিজের প্রতীকেই ভোট দেয়। আমাদের অনুরোধ, ইসি এই সিদ্ধান্তে অটল থাকুন। ভোটের দিন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া নাগরিকদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক। গণভোটের প্রক্রিয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিলে আমরা কাজ করতে পারব। আমাদের সিরিয়াস কনসার্ন হলো ভোটারের সর্বাধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন: প্রচারে তারেক ও জিয়ার ছবি ব্যবহারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান এনসিপির

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ছোট ও নতুন দলগুলোর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, প্রতীক স্পষ্ট ও বড় আকারে ছাপতে হবে, জোট গঠন করলে জোটগত প্রতীকের ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের জন্য আলাদা বুথ ও গণনা পদ্ধতি প্রয়োজন। এছাড়া কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও ব্যাকআপ সেনা সদস্যের সংখ্যা জনসম্মুখে জানাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি মোবাইল ফাইনান্সিং সার্ভিস (এমএফএস) লেনদেনের তথ্যও নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে হবে। প্রচারণার জন্য ইউনিয়ন/ওয়ার্ডে ফেস্টুন ও পোস্টারের সংখ্যা নির্ধারণ পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। প্রতিটি ইউনিয়নে কমপক্ষে একটি মাইকের ব্যবহারের সুযোগ এবং পোস্টার/বিলবোর্ড ব্যবহারের নিয়ম নতুনভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন তফসিল ঘোষণার পর ইসিকে পূর্ণ কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি-বিএমজেপি’র সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল ভোটের আগে সাত দিন এবং পরে ১০ দিন সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোর দেন।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর ইরান বলেন, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নের ঊর্ধ্বে অবস্থান করতে চাই। সুন্দর নির্বাচন, একটি ভোট উৎসব চাই। 

ইনসানিয়াত বিপ্লব মহাসচিব শেখ রায়হান রহবার ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে মোবাইল ডিজিটাল থাম্ব পদ্ধতির প্রস্তাব দেন।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সংলাপে বলেন, নির্বাচনি আচরণ প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিপত্র জারি করে স্পষ্টকরণ দেওয়া হবে। এআই অপব্যবহার ও সোশ্যাল মিডিয়ার হ্যারাসমেন্ট মোকাবিলার জন্য একটি সেল স্থাপন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সক্ষমতাও ব্যবহার করা হবে।

তিনি পেশি শক্তি মোকাবিলার বিষয়ে বলেন, অবৈধ অস্ত্র একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনের আগে ক্রস-বর্ডার অ্যাক্টিভিটি, ড্রাগ ও কিশোর গ্যাং নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। নির্বাচনের জন্য ৮০–১০০ হাজার সেনা সদস্য অনুরোধ করা হয়েছে। কেন্দ্র সংখ্যা ৪২,৬৭১। রিজিয়নাল রিজার্ভ, মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের জন্য সীমা নির্ধারিত আছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়