সুপার ওভারে ম্যাচ সমাপ্তি: বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টাই

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে দিয়েছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের একটি ওয়ানডে ম্যাচ টাই (সমান) হয়েছে। ম্যাচের উত্তেজনা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষ ৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। হাতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন শাই হোপ, যিনি দলের জয়ের আশা ধরে রেখেছিলেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আকিল হোসেন। বাংলাদেশি স্পিনার মোস্তাফিজুর রহমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ৪৯তম ওভার বল করেন। এই ওভারে ৯ রান দিয়ে খেলা শেষ ওভারে গড়ায়। শেষ ৬ বলের মধ্যে ৫ রান প্রয়োজন ছিল জয়ের জন্য।
তবে মোস্তাফিজ ছাড়াও নিয়মিত বোলারদের ১০ ওভারের কোটা শেষ হওয়ায় শেষ ওভারটি করতে আসেন পার্ট-টাইমার সাইফ হাসান। তিনি আগের এক ওভারে মাত্র ৫ রান দেন। শেষ ওভার বল শুরুতেই প্রথম দুই বল ডট দেন। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে এক করে রান আসে। পঞ্চম বলে আকিল হোসেনকে বোল্ড করে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়ান সাইফ। শেষ বলের আগে পরিস্থিতি দাঁড়ায় – ১ বলে ৩ রান প্রয়োজন। শেষ বলের বড় র্শট চেষ্টা করার সময় ক্যাচ তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার, কিন্তু সেটি ধরতে ব্যর্থ হন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। দুই রান পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচকে সুপার ওভারে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে টাইগ্রেসরা
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও শেষ ওভারে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। জয় থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন আরও ৭৭ রান দূরে। হাতে ছিল ৩ উইকেট। শাই হোপের ব্যাটে চলছিল স্বপ্নের জয়ের আশা। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আবারও পথ আগলে দাঁড়ান সাইফ হাসান। শেষ ওভারে ৫ রান প্রয়োজন। লাস্ট বলে ৩ রান প্রয়োজন হলেও শেষ বলের শটেই ক্যাচ তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১ নম্বর ব্যাটার। তবে নুরুল হাসান সোহানের ব্যর্থতার কারণে দুই রান অর্জন করে বাংলাদেশ ম্যাচকে সুপার ওভারে নিয়ে যান।
এর আগে, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের ব্যাটিং তাণ্ডবে রিশাদ হোসেনের অবদান মুখ্য ছিল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান সংগ্রহ করে।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স:
- সৌম্য সরকার ৮৯ বলে ৪৫ রান
- মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৮ বলে ৩২ রান
- নুরুল হাসান সোহান ২৪ বলে ২৩ রান
- রিশাদ হোসেন ১৪ বলে ৩৯ রান
এই ম্যাচটি ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক রোমাঞ্চকর ঘটনা হয়ে থাকলো। ম্যাচের উত্তেজনা এবং শেষ মুহূর্তের নাটক এটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি