News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২১ অক্টোবর ২০২৫
আপডেট: ২১:২২, ২১ অক্টোবর ২০২৫

‘অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকার আদলে রূপ দিতে হবে’

‘অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকার আদলে রূপ দিতে হবে’

ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অর্থবহ, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনই কেয়ারটেকার সরকারের আদলে রূপ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এ সময় তিনি প্রশাসনের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা, বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা এবং পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে নিরপেক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকে কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে। অর্থাৎ সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে রূপ দিতে হবে। নির্বাচনের আগে প্রশাসন যে নিরপেক্ষ হবে—এ ধারণা জনগণকে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। 

আরও পড়ুন: ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নাশকতার অংশ বিমানবন্দরের আগুন’

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের রাজনৈতিক কনসার্নগুলো তুলে ধরেছি। সচিবালয়ে যারা এখনও ‘ফ্যাসিস্ট শাসনের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত, তাদের সরানোর জন্য আমরা বলেছি। প্রশাসন, বিশেষ করে জেলা প্রশাসনেও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অনুরোধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগেও যারা স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করছে, তাদের অপসারণে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে উদ্যোগ নিতে হবে। যদিও এটি জুডিশিয়ারির বিষয়, তারপরও প্রধান উপদেষ্টা সব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে আমরা আমাদের কনসার্নগুলো জানিয়েছি। সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ রাখার জন্য, বিশেষ করে সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকে, তাদের অপসারণের জন্যও দাবি জানিয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের কাছে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য ধারণা তৈরি করা।

বিএনপি মহাসচিবের এই মন্তব্যগুলোর মাধ্যমে দলের পক্ষ থেকে প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং পুলিশিং সেক্টরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে, যা আগামী নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়