আদাবরে চাঞ্চল্যকর রিপন হত্যার আসামি ‘কুমির’ রুবেল গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আদাবর থানার চাঞ্চল্যকর রিপন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. রুবেল ওরফে কুমির রুবেলকে (২৮) মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার একটি এলাকা থেকে যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২ ও র্যাব-৮।
অভিযানটি শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে দুটি ব্যাটালিয়নের যৌথ টিম পরিচালনা করে বলে জানায় র্যাব-২।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ১০ সেপ্টেম্বর আদাবর ১০ নম্বর এলাকার বালুর মাঠের বস্তির একটি বাসায় রিপন (৩০) নামের এক চা দোকানদারকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালানো হয়। রিপনের স্ত্রী ও সন্তানও গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত রিপনকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: তিন মাসে মোহাম্মদপুরে গ্রেফতার ১২০০
এ ঘটনায় নিহত রিপনের স্ত্রী বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার অনুযায়ী, বস্তির পাশেই রিপনের চায়ের দোকান ছিল। তিনি বস্তির ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করতেন। মো. রুবেল ওরফে কুমির রুবেল এবং তার কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা দোকানে নিয়মিত বাকি খেত এবং আশপাশের এলাকায় মাদক বিক্রি ও সেবন করতো। রিপন তাদেরকে বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে রিপনের বাসায় ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। একই সময়ে তার স্ত্রী ও সন্তানকেও কোপায়। ঘটনার সময় তারা চিৎকার করলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
র্যাব-২ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান জানান, রুবেল ওরফে কুমির রুবেলকে মাদারীপুর জেলার ডাসার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে অন্যান্য আসামীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক আছাদুজ্জামান আরও জানান, নিহত রিপনের চায়ের দোকান বস্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি ও খাওয়াদাওয়ার জন্য সেখানে উপস্থিত থাকত। রিপনের বাধার কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। গ্রেফতারের সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান।
র্যাব-২ ও র্যাব-৮ যৌথভাবে পরিচালিত এই অভিযান মূল হত্যাকারী ও তার সহচরদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সংস্থা সক্রিয়ভাবে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি