৫% বাড়িভাড়া প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, মেডিকেল ভাতা ১,৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা প্রস্তাবিত ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বা সর্বনিম্ন ২,০০০ টাকার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেছেন। নতুন কর্মসূচি হিসেবে তারা দুপুর ১২টায় শিক্ষাভবন অভিমুখে ‘ভুখা মিছিল’ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানান, ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সকল কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে একই দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মিতু মরিয়ম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২,০০০ টাকা) বৃদ্ধি করা হবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৬টি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই বাড়িভাড়া বৃদ্ধি আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, প্রস্তাবিত ৫ শতাংশ বৃদ্ধি তাদের দাবির চেয়ে অনেক কম। তাদের দাবি অনুযায়ী, বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে।
পাশাপাশি, গত ৩০ সেপ্টেম্বরও সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে তখনও এটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেয় জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। এরপর ১২ অক্টোবর থেকে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ এবং শাহবাগ মোড় অবরোধ।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। মূল বেতনের সঙ্গে তারা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং পূর্বে ১,০০০ টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পান। এছাড়া, বছরে ২৫% হারে দুটি উৎসব ভাতা পেতেন, যা মে মাসে বৃদ্ধি পেয়ে এখন মূল বেতনের ৫০% হারে প্রদান করা হচ্ছে।
শিক্ষক-কর্মচারীরা ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিকে ‘প্রাথমিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করলেও, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি/এনডি