News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:০২, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১৯:০২, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সহকারী শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এ কঠোর হুঁশিয়ারি

সহকারী শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এ কঠোর হুঁশিয়ারি

ফাইল ছবি

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চালু করার পর কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে সরকারি চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক এই তথ্য জানান।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন ১ ডিসেম্বর থেকে কর্মবিরতি শুরু করে এবং ৩ ডিসেম্বর থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকরা তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের অনুরোধ জানাচ্ছেন, যেগুলি হলো:

  • ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদানের দাবি
  • ১০ ও ১৬ বছরের চাকরি পূর্ণ হওয়ার পর উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা সমাধান
  • প্রধান শিক্ষক পদে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা

আরও পড়ুন: ‘পরীক্ষা বন্ধ রাখলে শাস্তির মুখোমুখি হবেন শিক্ষকরা’

এই দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। 

এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা এবং বেতন-কমিশনের সভাপতির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

এর আগে ৭ আগস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩৬৪ সংখ্যক স্মারকে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য জাতীয় বেতন কমিশনের সভাপতিকে চিঠি পাঠিয়েছিল। পরে ১০ নভেম্বর অর্থ বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়েছে, পে-কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপরোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ সত্ত্বেও কয়েকটি সংগঠন চলমান বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে। কোথাও কোথাও পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা থাকা শিক্ষকদের ওপর হামলা ও শারীরিক লাঞ্ছনের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচিকে সরকারি চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইনবিরোধী হিসেবে বিবেচনা করছে।

এই পরিস্থিতিতে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে অবিলম্বে কাজে যোগদান করতে হবে এবং তৃতীয় প্রান্তিক/বার্ষিক পরীক্ষার সকল কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে। নির্দেশনা অমান্য করলে শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়