News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

১ ডিসেম্বর থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি শিক্ষকদের

১ ডিসেম্বর থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি শিক্ষকদের

ছবি: সংগৃহীত

দশম গ্রেডকে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে আবারও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকরা। 

তারা জানান, দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে তারা ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ যাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে শিক্ষা ভবনের সামনে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। 

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা এদিন সকাল থেকেই শিক্ষা ভবনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেন। 

তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নানা পর্যায়ে নিম্ন গ্রেডের কয়েকটি পদ পর্যন্ত নবম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষক পদটি দশম গ্রেডেই আটকে আছে। ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতার পরেও এই পদোন্নয়ন প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা নিজেদের প্রতি বৈষম্য দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করেন। 

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, পূর্বেও একাধিকবার তারা দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন; তবে এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার প্রশ্নই ওঠে না।

আরও পড়ুন: ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

এদিকে একই দিন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কর্মবিরতিতে গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন। 
সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হলে তারা আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশনে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। এর ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা এখন অনিশ্চয়তার মুখে।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, সরকার তাদের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দাবিগুলোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, ফলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আর কোনো বিকল্প না থাকায় কর্মবিরতিতে যেতে হয়েছে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার দ্রুত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় নিয়ে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় থেকে শাটডাউনের ঘোষণা এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চলমান কর্মবিরতি—উভয় আন্দোলন একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করায় সারাদেশে শিক্ষা কার্যক্রম বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা। সমন্বিত উদ্যোগ ও জরুরি সিদ্ধান্ত ছাড়া এই অবস্থার দ্রুত সমাধান কঠিন হয়ে উঠতে পারে, এবং এর নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে শিক্ষার্থীদের উপর।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়