২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং নির্বাচনের দিন নির্বিঘ্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিস্তৃত ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন নিরাপত্তার কৌশল নির্ধারণে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
ইসি সচিব জানান, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার কার্যকর থাকবে। ফলে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্ধারিত নির্বাচনের সময়ও কমিশন এই ক্ষমতার আওতায় থাকবে। তবে ভোটকেন্দ্রে সেনা সদস্য মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন চলাকালে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যেন কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা স্থানীয় নেতাকর্মীর আতিথেয়তা গ্রহণ না করেন- এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সহযোগী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সুসমন্বিত রাখতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মাঠপর্যায়ে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মনিটরিং করতে ইসি একটি বিশেষ সেল গঠন করবে। পাশাপাশি সাইবার হামলা, অপপ্রচার ও ডিজিটাল নাশকতা ঠেকাতে থাকবে আলাদা সাইবার সিকিউরিটি সেল।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ সেনাপ্রধানের
সচিব জানান, বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠপর্যায়ে কোনো বিশেষ চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়নি। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী বহুস্তরীয় নিরাপত্তা জোন তৈরি এবং বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
ভোটের পরিবেশ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে এলাকা অনুযায়ী ৪–৫, ৭–৮ বা ৯–১০ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হতে পারে।
চেকপোস্ট থাকবে নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচনকালীন সময় থেকে শুরু করে পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী দিনগুলোতেও। কেন্দ্রভিত্তিক চেকপোস্ট স্থাপনও বিবেচনায় রয়েছে।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, ভোটের সরঞ্জাম নির্বাচন কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছানো, সংরক্ষণ, ব্যালট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত সব ধাপে কঠোর নিরাপত্তা বলয় বজায় রাখা হবে।
বৈঠকে নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি জোরদারের বিষয়টি গুরুত্ব পায়, যেখানে বডি ক্যামেরা ব্যবহারের প্রস্তাব উঠে আসে। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার রোধে কঠোর অভিযান পরিচালনা এবং বৈধ অস্ত্র প্রকাশ্যে প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।
নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশকে নিরপেক্ষ রাখতে সারা দেশে পোস্টার, ব্যানার, তোরণসহ সমস্ত প্রচারসামগ্রী অপসারণের বিষয়েও কমিশন একমত পোষণ করে।
এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং সংখ্যালঘুসহ সব ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








