News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:২০, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

উত্তরে তীব্র শীত, শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

উত্তরে তীব্র শীত, শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

ফাইল ছবি

উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপ দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা বছরের এই সময়ের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও তীব্র শীতের উপস্থিতি ও আর্দ্রতার কারণে জনজীবনে শীতের চাপ কমেনি। সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। ভোরে প্রবল হিমেল হাওয়ায় জনজীবন প্রভাবিত হলেও পরে হালকা রোদ দেখা মেলে। 

আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে এবং ডিসেম্বরের শুরুতেই শীত আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈতপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

অপরদিকে, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার চা বাগান, হাওর ও পাহাড়বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় ভোরবেলা থেকেই কুয়াশা এবং শিশিরে ভেজা পরিবেশে ঠাণ্ডা প্রকটভাবে অনুভূত হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো আসায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভূমিকম্পে কাঁপল টেকনাফ

শ্রীমঙ্গলে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চা শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা শ্রীমঙ্গল স্টেশনের ফুটপাতে শীতের পোশাকের ক্রেতা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। এদিকে নতুন ধান ঘরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় নবান্ন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। গোলার নতুন ধানের সুবাস ও পিঠা-পুলির আয়োজন গ্রামীণ জনপদে উৎসবের চিত্র উপস্থাপন করছে। সন্ধ্যা নামলেই শহরের অলিগলিতে পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

শ্রমজীবী মানুষ- চা শ্রমিক, ভ্যানচালক ও রিকশাচালক- তীব্র শীতের মধ্যেও জীবিকার তাগিদে সকাল থেকেই কাজে বের হচ্ছেন। 
রিকশাচালক ওসমান ও কৃষক আকরম আলী জানান, সকালে রোদ দেখলে কাজ করতে স্বস্তি হয়। শীতের মধ্যেও সকালবেলা কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে।

শীত বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ও হাঁপানি রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিন।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দিলীপ বৈষ্ণব জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ও ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়