‘শেখ হাসিনার সাজা নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়ার ফল’
ছবি: সংগৃহীত
প্লট বরাদ্দ দুর্নীতি মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের সাজা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত বিচারপ্রক্রিয়ার ফল বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্লট বরাদ্দ–সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড সম্পূর্ণ স্বাধীন বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে।
এসময় জাতীয় পার্টি ও এরশাদ-হাসিনা যুগের ‘হাসিনোমিক্স’ অর্থনীতি নিয়ে তিনি তীব্র সমালোচনা করেন।
তার দাবি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আইন–আদালতের ওপর কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আয়োজিত পৃথক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ডা. শামসুল আলম খানের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, হাসিনার করা আদালত, হাসিনার গড়া ট্রাইব্যুনাল—সেই ব্যবস্থার মধ্যেই স্বাধীন সরকারের সময়ে তার বিচার চলছে। এখানে প্রভাব খাটানোর কোনো উপায় নেই।
জাতীয় পার্টি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, যারা অতীতে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে তাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছিল, তারাই এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নৈতিকতার বুলি আওড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নেতৃত্বে দেখতে চায়: রিজভী
তার ভাষায়, এই দলটির ভূমিকা না থাকলে হাসিনা এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারতেন না। বারবার তারা গিয়ে আঁতাত করেছে।
প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভায় রিজভী সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনার ‘রাজনৈতিক চরিত্রে কোনো পার্থক্য নেই’ বলেও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বারবার সম্পর্কের টানাপোড়েনের পরও শেষ পর্যন্ত তারা হাত মিলিয়েছেন। দুজনই অবৈধ ক্ষমতার জোরে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের একই ধারার চর্চা করেছেন।
তার দাবি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটপাটের যে সংস্কৃতি এরশাদ আমলে শুরু হয়েছিল, হাসিনার সময়ে তার ভয়াবহ বিস্তার ঘটে—যার ‘চূড়ান্ত রূপ’ ছিল ‘হাসিনোমিক্স’।
রিজভীর ভাষায়, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার সুযোগ, কিস্তি না গিয়েও নতুন ঋণ পাওয়ার নিয়ম—সবই ছিল হাসিনোমিক্সের অংশ।
তিনি উল্লেখ করেন, এই সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
হাসিনার সাজা নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগকে ‘অবাস্তব’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দলের আদালতের ওপর চাপ প্রয়োগের সুযোগ নেই। বিচারিক প্রক্রিয়া স্বাধীনভাবে চলছে, যেটা হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে ছিল না।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির মামলাগুলোর রায় বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতারই প্রতিফলন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








