News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

‘পরীক্ষা বন্ধ রাখলে শাস্তির মুখোমুখি হবেন শিক্ষকরা’

‘পরীক্ষা বন্ধ রাখলে শাস্তির মুখোমুখি হবেন শিক্ষকরা’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন স্থানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বার্ষিক বা চলমান পরীক্ষা বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল উল্লেখ করে কড়া সতর্কতা দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। 

তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা শাস্তির মুখোমুখি হবেন।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা–বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।

ড. আবরার বলেন, আন্দোলনের নামে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেভাবে পরীক্ষা বন্ধ রাখছেন, তা স্পষ্টভাবে সরকারি আচরণ বিধির বিরোধী। 

তার ভাষায়, সরকার এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে আছে। সরকারি আচরণ বিধি ভঙ্গের জন্য আপনাদের কিন্তু প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষার পরিস্থিতি এখন বিশৃঙ্খল—কোথাও পরীক্ষা হয়েছে, আবার কোথাও হয়নি—যা একেবারেই “অনভিপ্রেত”।

শিক্ষকরা নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি তুলেছেন—এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবে বলেন, এই দাবি চাকরিতে যোগদানের সময় তাদের শর্তে ছিল না। “তারা জানতেন যে তারা দশম গ্রেডেই থাকবেন,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দাবি “অন্যায্য ও অন্যায়”।

আরও পড়ুন: মঙ্গলবারের বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করলেন সহকারী শিক্ষকরা

তিনি আরও জানান, নবম গ্রেডে বিসিএস অ্যাডমিন ক্যাডাররা যোগ দেন; তাই এটি এককভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে সমাধানের বিষয় নয়, বরং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বিত একটি প্রক্রিয়া। সুতরাং “এই পদে যে কেউ হুট করে চাইলেই যেতে পারে না” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ড. আবরার দাবি করেন, শিক্ষকরা যেভাবে পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন চাপিয়ে দিচ্ছেন, তাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি এটিকে শিক্ষকতার নৈতিকতার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন।

তার মতে, দুই দিন আগে দাবি উত্থাপন করা হয়েছে এমন সময়ে, যখন বহু স্কুলে বার্ষিক বা টেস্ট পরীক্ষা চলমান।

সোমবার সন্ধ্যায় সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন—ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা পরীক্ষা দিতে আগ্রহী, কিন্তু শিক্ষকদের একাংশ পরীক্ষা নিচ্ছেন না।

এই প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, শিক্ষকরা মঙ্গলবার থেকে তাদের স্কুলে পরীক্ষা নেবেন। অন্যথায় সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিধি লঙ্ঘনের কারণে নির্ধারিত শাস্তির মুখোমুখি হবেন।

ড. আবরার স্পষ্ট করে বলেন, পরীক্ষায় কোনো রকমের আপস হবে না। শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের অযথা চাপ ও অনিশ্চয়তা কমাতে পরীক্ষা গ্রহণ অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়