News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
আপডেট: ০৯:০১, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

বিগত সরকারের আমলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর যেসব সদস্য অন্যায়ভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত ও বরখাস্ত সদস্যদের অভিযোগ পর্যালোচনাপর্ব সম্পন্নকারী কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রথমে মনে হয়েছিল সামান্য কিছু অনিয়ম হয়েছে; কিন্তু আপনারা যে পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরেছেন, তা রীতিমতো ভয়াবহ। কল্পনার বাইরে।”

তিনি পূর্ণ পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সত্য উদঘাটনের জন্য কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর চাকরিতে বৈষম্য, বঞ্চনা, অবিচার ও প্রতিহিংসার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত ও বরখাস্ত সদস্যদের জমা দেওয়া মোট ৭৩৩টি আবেদন যাচাই করে কমিটি ১৪৫টি আবেদনের বিষয়ে সুপারিশ করেছে।

কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ জানান, গত ১৯ আগস্ট কমিটি কাজ শুরু করে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হয়। আবেদনকারীদের ডোসিয়ারে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তদন্তে উঠে এসেছে- ছয়জন অফিসারকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেআইনিভাবে ১ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত গুম করে রাখা হয়েছিল।

একজন অফিসারকে ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে হত্যা করা হয় এবং তার স্ত্রীকে শিশু সন্তানসহ ছয় বছর বিনা বিচারে কারাগারে রাখা হয়।

বিডিআর হত্যাযজ্ঞের সময় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা পাঁচজন অফিসারকে ভুয়া মামলায় নির্যাতন করা হয়।

১/১১ সময় ডিজিএফআইতে কর্মরত পাঁচজন অফিসারকে মিথ্যা অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়।

ধর্মীয় আচার-অনুশীলনের কারণে চারজন কনিষ্ঠ অফিসারকে ‘জঙ্গি’ ট্যাগ দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দরবারে উপস্থিত পাঁচজন অফিসারকে অযথা দায়ী করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়।

সেনাবাহিনী: ১১৪ জন বঞ্চিত অফিসারের স্বাভাবিক অবসর, পদোন্নতি, বকেয়া সুবিধা ও চারজনকে চাকরিতে পুনর্বহালের সুপারিশ।

নৌবাহিনী: ১৯ জন কর্মকর্তার অবসর, পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধার সুপারিশ।

বিমান বাহিনী: ১২ জন কর্মকর্তার অবসর, পদোন্নতি ও বকেয়া সুবিধা প্রদানের সুপারিশ।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা–বিষয়ক বিশেষ সহকারী আব্দুল হাফিজসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়