ইমরান খানের বেঁচে থাকার প্রমাণ নেই, দাবি ছোট ছেলের

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। ইমরান খানের তিন বোন অভিযোগ করেছেন, বারবার সাক্ষাতের জন্য আবেদন করা সত্ত্বেও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তারা কারাগারে সাক্ষাতের চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন।

অদালালা কারাগারের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা ঘটায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠেছে। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকদের মধ্যে। আদিয়ালা কারাগারের আশেপাশে হাজার হাজার পিটিআই নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন।

কারাগার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইমরান খান আদিয়ালা কারাগারেই আছেন, অন্যত্র সরানো হয়নি। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তার অসুস্থতার খবর ভিত্তিহীন।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও নিশ্চিত করেছেন, কারাগারে ইমরান খানের সুবিধা সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে।

তবে এ দাবির মাঝেই রহস্য রয়েই গেছে। ইমরান খানের ছোট ছেলে কাসিম খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছে, পরিবারকে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং তার বেঁচে থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইমরানকে ৮৪৫ দিন ধরে কারাবন্দি রাখা হয়েছে এবং গত ছয় সপ্তাহ ধরে একক বন্দিত্বে (‘ডেথ সেল’) রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পরিবারের সাক্ষাতের অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে।

কাসিম আরও সতর্ক করে বলেন, ইমরান খানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনো ঘটনার জন্য পাকিস্তান সরকার ও তাদের ‘হ্যান্ডলারদের’ দায় বহন করতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা ট্রাম্পের

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস ও সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে হামলার মতো নানা মামলা করা হয়। ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার হওয়া তিনি আগস্ট থেকে জেলেই রয়েছেন।