‘গোমূত্র দিয়ে’ নারীদের নামাজ পড়ার স্থান পবিত্র করলেন বিজেপি এমপি!
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পুনেতে বিজেপি সাংসদ মেধা কুলকার্নির নেতৃত্বে হিন্দু সংগঠনের একটি দল ঐতিহাসিক শনিওয়ার ওয়াড়ায় ‘শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান’ আয়োজন করার পর, এ নিয়ে বড় ধরনের রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। মূলত, কয়েকজন মুসলিম নারীর ওই স্থানে নামাজ আদায় করার একটি ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।
কুলকার্নির মতে, মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতীক পুনে দুর্গের ঘটনাটি ‘উদ্বেগ’ এবং ‘ক্ষোভের বিষয়’।
একটি ক্লিপে দেখা গেছে, যেখানে ওই নারীরা নামাজ আদায় করেছিলেন, বিজেপি নেতারা সেই স্থানটি ‘গোমূত্র’ দিয়ে পরিষ্কার এবং শিববন্দনা করে ‘শুদ্ধিকরণ’ করছে।
বিজেপির এই সাংসদ বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। শনিওয়ার ওয়াড়া নামাজ পড়ার জায়গা নয়। আমরা প্রশাসনের কাছে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শনিওয়ার ওয়াড়ায় শিববন্দনা করেছি এবং স্থানটি পবিত্র করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেছি কিন্তু কর্মকর্তারা আমাদের বাধা দিয়েছে। এই লোকেরা যেকোনো জায়গায় নামাজ পড়ে এবং তারপর এটি ওয়াকফ সম্পত্তিতে যুক্ত করে। হিন্দু সম্প্রদায় সতর্ক রয়েছে।’
তবে বিজেপি সাংসদের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী নেতারা। অজিত পাওয়ারের এনসিপি মুখপাত্র রূপালি পাতিল থম্ব্রে ‘সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেয়ার’ চেষ্টার জন্য পুলিশকে মেধা কুলকার্নির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি
তিনি বলেন, পুনেতে উভয় সম্প্রদায় সম্প্রীতির সাথে একসঙ্গে বাস করে। কিন্তু তিনি (বিজেপি এমপি) হিন্দু বনাম মুসলিমের বিষয়টি উসকে দিয়েছেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে ভারতের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ এবং ‘বহুত্ববাদ’ ধ্বংস করার অভিযোগ করেছেন এআইএমআইএম মুখপাত্র ওয়ারিস পাঠান।
এদিকে, ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) কর্মকর্তার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গে নামাজ পড়া অজ্ঞাতপরিচয় নারীদের একটি দলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে। সূত্র: এনডিটিভি
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








