News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:০২, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি: সংগৃহীত

জনতা ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সোমবার সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি ব্যাংকের ঋণজালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহের পর দায়ের করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জনতা ব্যাংক থেকে মর্টগেজ নেওয়া জমিতে বাস্তবে কোনো ভবন বা স্থাপনা না থাকা সত্ত্বেও ঋণগ্রহীতা মালিক হওয়ার আগেই ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় স্থাপনাবিহীন জমি ক্রয় করে তা প্রায় ৬ হাজার ৯৯ মিলিয়ন টাকায় মূল্যায়ন দেখিয়ে বিআরপিডি সার্কুলার নং ০৫/২০০৫ এবং এমওইই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের মাধ্যমে মোট ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জনতা ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক নাগিবুল ইসলাম দীপু, সাবেক পরিচালক ড. আর এম দেবনাথ, সাবেক পরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদ, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন।

আরও পড়ুন: ৪ হাজার এএসআই নিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারি

তদন্তকালে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালক মো. আবু তালহা, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম। 

দুদক জানায়, মামলার এজাহারে প্রথমে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে তদন্তকালে তিনজনের নামে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তকালে আরও ছয়জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আরও জানান, এই ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন, যেখানে নামে-বেনামে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের নামে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সবচেয়ে বড়।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের সময় জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন ড. আতিউর রহমান। ফলে উভয়কেও মামলার আসামি করা হয়েছে।

এই মামলার চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের বড় কেলেঙ্কারি চক্রের তথ্য পুনরায় সামনে এসেছে, যা ব্যাংকিং ও আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা চিহ্নিত করছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়