News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ১০ অক্টোবর ২০২৫

না ফেরার দেশে শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

না ফেরার দেশে শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গত ৩ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি পরবর্তী পরীক্ষায় চিকিৎসকেরা তাঁর হৃদযন্ত্রে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ শনাক্ত করেন এবং রাতেই তাঁর হার্টে দুইটি স্টেন্ট (রিং) পরানো হয়। এরপর ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা লাইফসাপোর্টে থাকার পর তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরে আবার অবনতি ঘটে, ফলে তাঁকে পুনরায় লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

মৃত্যুর দিন বিকেল ৫টায় চিকিৎসকেরা লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নিয়ে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সময় তিনি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ৩০৯ বাংলাদেশি

জানা গেছে, গত শুক্রবার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে যাওয়ার পথে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। গাড়িচালক একজন পথচারীর সহায়তায় তাঁকে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হন এবং সেখান থেকে তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ শুক্রবার রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শনিবার সকাল ১১টায় তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে জাতীয় কবিতা পরিষদের ব্যানারে নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজন করা হয়েছে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে মিরপুরের শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ১৯৫১ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা শেষে ২০১৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন। পরে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০২৩ সালে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করা হয়।

বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং একুশে পদকে ভূষিত হন। তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্য ও শিক্ষাঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়