News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:০৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

“দুষ্কৃতকারীদের চেষ্টা ব্যর্থ করে শান্তিপূর্ণ হচ্ছে দুর্গাপূজা”

“দুষ্কৃতকারীদের চেষ্টা ব্যর্থ করে শান্তিপূর্ণ হচ্ছে দুর্গাপূজা”

ছবি: সংগৃহীত

শারদীয় দুর্গাপূজা পবিত্রতা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে উদযাপনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। 

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা একটি পবিত্র ধর্মীয় উৎসব। তাই সবাইকে এর পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ যেন না ঘটে, তা খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে কেউ যেন জুতা পায়ে মণ্ডপে না ওঠে, সে বিষয়ে সবাই সতর্ক থাকবেন।

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু দুষ্কৃতকারী পূজা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে অনুষ্ঠিত হতে না দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তবে তাদের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। 

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে কিছু ফ্যাসিস্টের দোসরও সহযোগিতা করেছে। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সকলের সহযোগিতার কারণে তারা সফল হয়নি।

ডাকসুতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর এবং ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা না যায় সেই উদ্দেশ্যেই খাগড়াছড়িতে সহিংসতা ঘটানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে খাগড়াছড়িতে অস্থিরতা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি ঘটানোর উদ্দেশ্য ছিল যেন এই পূজাটা শান্তিপূর্ণভাবে না হয়। কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছিল যাতে পূজাটা ভালোভাবে না হয়। তবে তাদের কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা হয়েছে। পূজা শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা সব জায়গায় চেষ্টা করবে। তাদের মদতদাতা দেশের ভিতরে ও বাইরে রয়েছে। ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি খাগড়াছড়ির ধর্ষণ ও সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কথাও জানান। বিষয়টি সম্পর্কে জানান, খাগড়াছড়িতে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে পূর্বদিন রাতের ঘটনার পর; সেখানে ‘অচেতন অবস্থায়’ এক মারমা কিশোরীকে ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরের দিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় খাগড়াছড়িতে। আন্দোলন এক সময় সহিংস হয়ে ওঠে। ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েনের পরও পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। রোববার গুইমারায় সহিংসতার সময় গুলিতে তিনজন নিহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় পূজার অনুষ্ঠান হচ্ছে ঢাকেশ্বরীর অনুষ্ঠান। এর পবিত্রতা রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব। পূজার নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, যেখানে পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, আনসারসহ স্বেচ্ছাসেবকরা রয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের সতর্ক করে বলেন, সঠিক সংবাদ প্রচার করতে হবে। যে কেউ অসত্য সংবাদ দেয়, তার প্রতিরোধ করতে হবে। কোনো সংবাদ যাচাই না করে দেবেন না। এ জন্য একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে।

উপদেষ্টা আরও জানান, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়