গুমের দুই মামলায় হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
গুমের দুই মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী–সমর্থকদের গুম করে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
এদিকে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।
শুনানি শেষে এ মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।
আরও পড়ুন: গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ফরমাল চার্জ দাখিল
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ঘটে। এর মধ্যে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জন নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই সময় রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালান। অন্যান্য আসামিরাও এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার পর তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা বিস্তারিত তদন্ত শেষে চার আসামির বিরুদ্ধে রিপোর্ট দাখিল করেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি