পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ডসহ ৩ সন্ত্রাসী নিহত
ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরের শ্রীনগর শহরের হরওয়ান এলাকায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী এক যৌথ অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য সুলাইমান শাহসহ তিন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
নিহত সুলাইমান শাহকে পহেলগাঁও হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে ২০১৭ সালে ২৬ জন পর্যটককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোরে শুরু হওয়া অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছদ্মবেশে অবস্থানরত সুলাইমানসহ অন্য দুজন—আবু হামজা ও ইয়াসিরকে লক্ষ্য করে ব্যবস্থা নেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় সক্রিয় গুলির বিনিময় হয়, যার ফলে তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হন। খবর থেকে জানা গেছে, ইয়াসিরও ওই হামলায় সরাসরি জড়িত ছিল।
সুলাইমান শাহ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে এবং তার ছদ্মনাম ছিল হাসিম মূসা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতারের জন্য ২০ লাখ রুপি পুরস্কারের ঘোষণা ছিল। শ্রীনগরের মুলনার এলাকায় চালানো অভিযানে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংককের মার্কেটে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ৬
অভিযান সফল হওয়ার পর ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সন্ত্রাসীরা কাশ্মীরে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা গোপন আস্তানাগুলোতে অবৈধ অস্ত্র-গুলির পরিমাণ উদ্বেগজনক ছিল।
পহেলগাঁও হামলার সময় নিহত পর্যটকদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নাগরিক থাকায় এই ঘটনার আন্তর্জাতিক প্রভাব পড়েছিল।
নিউ ইয়র্ক টাইমস ও গার্ডিয়ানের মতো পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোও এই হামলার পিছনে লস্কর-ই-তৈয়বা ও পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সমর্থনের প্রমাণ উঠে আসার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করেছিল।
নতুন এই অভিযানের পর বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কাশ্মীর পরিস্থিতিতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ‘প্রতিরোধ ও প্রতিরূপ প্রদর্শনের’ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যদিও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, এই ধরণের অভিযান জনসাধারণের মধ্যে সুরক্ষা বোধ জাগাতে এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতির এক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








