শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ইবতেদায়ি শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত
সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ‘অসম্মানজনক আচরণের’ অভিযোগ তুলেছেন। এ কারণে তার পদত্যাগ দাবি করেছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সংগঠনের নেতারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় তারা নতুন কর্মসূচি হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন।
ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাওয়ার পর আমরা যেটি বুঝতে পারলাম, শিক্ষা উপদেষ্টা রেসপেক্ট ও রেসপন্স তো দূরের কথা, একটা সৌজন্যমূলক আচরণ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে করেননি। আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে, ‘অসম্মানজনক আচরণের’ দেখিয়ে আমাদের বিদায় করে দিয়েছেন। আমাদের সাথে ‘অসম্মানজনক আচরণের’ করা মানে পুরো দেশের শিক্ষক জাতিকে অসম্মান করা। এ ধরনের আচরণের কারণে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
৫ দাবিতে থালা-বাটি হাতে শাহবাগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের লং মার্চ
দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আসার পর তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টার ‘অসম্মানজনক আচরণের’র কারণে আগামীকাল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে জানিয়ে মোখলেছুর রহমান আরও বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার এ ধরনের আচরণ করার কারণে এর প্রতিবাদে আগামীকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে দেশের সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়ে সকাল ১১টার মধ্যে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করবো।
তিনি বলেন, আমরা জনদুর্ভোগ এবং যানজটের সৃষ্টি না করে শিক্ষকদের আমরা আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবো। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার এ ধরনের ‘অসম্মানজনক আচরণের’ কারণে আগামীকাল বিক্ষোভ মিছিল করবো।
কর্মসূচি ঘোষণা শেষে দুপুর তিনটায় তারা রাস্তা থেকে সরে প্রেস ক্লাবের ফুটপাতে অবস্থান নেন।
অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সরকারের ঘোষিত পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নসহ মোট পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা।
দুপুর সাড়ে ১২টার পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকরা পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের কদম ফোয়ারা এবং প্রেস ক্লাবের মাঝামাঝি স্থানে আটকে দিয়েছে। পুলিশ আটকে দেওয়ার পর শিক্ষকরা রাস্তায় বসে পড়েন। এর ফলে রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দেয়।
রাস্তায় বসে পড়া শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হলে তারা রাজপথ ছেড়ে যাবেন না।
পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বারবার বোঝানো হয়েছে, শিক্ষকরা যাতে রাস্তা ছেড়ে দেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি