News Bangladesh

লালমনিরহাট সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:১২, ৫ অক্টোবর ২০২৫

বিপৎসীমায় তিস্তার পানি, লালমনিরহাটে বন্যার আশঙ্কা

বিপৎসীমায় তিস্তার পানি, লালমনিরহাটে বন্যার আশঙ্কা

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বাম তীরের জেলা লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, আগামী সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হতে পারে। 

রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৪ মিটার। যা বিপদসীমার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার) ১ সেন্টিমিটার নিচে।

আরও পড়ুন: কুমিল্লার হোমনায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩ জনের

স্থানীয়রা জানান, গত ২ দিনের ভারি বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। রবিবার সকাল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯ ঘণ্টার ব্যাবধানে ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বিকেল ৩ টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে নদী তীরবর্তি নিম্নাঞ্চলের বেশ বিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে মাছের খামার, আমন ধানসহ নানান জাতের সবজির খেত। ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তা ঘাট। নৌকায় যোগাযোগ করছে চরাঞ্চলের মানুষ।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ। রবিবার বিকেল ৩ টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে আগামী ১২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

গোবর্দ্ধন গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। চরাঞ্চলের রাস্তা ঘাট ডুবে গেছে। অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, ডুবে গেছে আমন ধানের খেত। সময় যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে পানি। বন্যার আতংকে রয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন,ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। আগামী ১২ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এতে নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে আহবান জানান তিনি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়