News Bangladesh

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুড়িগ্রামে কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার ১

কুড়িগ্রামে কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার ১

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে স্কুল শিক্ষার্থীকে ৬ ঘন্টা গাছের সাথে বেধে নির্যাতনের ঘটনায় ভূক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তসলিম উদ্দিন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহনা আক্তারের ছোট বোন আশামনি (০৯) বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিল। মোহনার দাদী তার নাতনীর চিকিৎসার জন্য তার বাবাকে একটি গরু দেন। এ নিয়ে মোহনার দুঃসম্পর্কের দাদু আব্দুল কাদের মোহনার বাবাকে চোর সাব্যস্ত করে চৌকিদার পাঠিয়ে হুমকি দেন। 

আরও পড়ুন: মিথ্যা অপবাদে গাছে বেঁধে কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগ

গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মোহনা তার বাবাকে দেয়া চোর অপবাদের প্রতিবাদ করলে আব্দুল কাদের উঠানেই মোহনাকে ধরে  শারীরিক নির্যাতন করেন। এছাড়া তাকে প্রায় ৬ ঘন্টা গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেধে রাখেন। পরে খবর পেয়ে ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মোহনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে গত রাতেই  মোহনার পিতা মোস্তফা মিয়া বাদী হয়ে আব্দুল কাদের সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই মামলার ২ নম্বর আসামি মায়া বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। 

ভুক্তভোগী মোহনা বলেন, একই গ্রামের আব্দুল কাদের গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমাকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেধে রেখে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করার চষ্টা করে। এছাড়াও আমাকে মারধর করে হাঁটু, গলা ও পিঠ জখম করায় এখনও আমি অসুস্থ। ঠিক মতো চলতে পারছি না। আমি সবার বিচার চাই।

রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, মেয়েটির বাবা মোস্তফা মিয়া মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন এবং পুলিশ রাতেই মামলার ২ নম্বর আসামি মায়া বেগম নামের একজনকে গ্রেফতার করে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়