কোরবানি প্রস্তুতি
ঈদে প্রয়োজন ৮০-৯০ লাখ পশু, আছে ১ কোটি ১৩ লাখ
ঢাকা: আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দেশে ১ কোটি ১৩ লাখ গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে নিউজবাংলাদেশকে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় বলেন, কোরবানির সময়ে যাতে চাহিদা অনুযায়ী পশু পাওয়া যায়, এজন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি কাজ করছে প্রণিসম্পদ অধিদপ্তর। গৃহস্থের ঘরে এখন যে পরিমাণ পশু রয়েছে, তা দিয়ে কোরবানি সামাল দেওয়া যাবে। কেনো ঘাটতি হবে না। দেশে গবাদিপশু আছে দুই কোটি ৩৬ লাখ। বিক্রির উপযোগী ৩৪ থেকে ৪০ লাখ গরু-মহিষ ও ৭৯ লাখ ভেড়া-ছাগল আছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সারা বছরে চাহিদার ৫০ শতাংশ গরু কোরবানিতে জবাই হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ৮৬ লাখ ২২ হাজার গরু-মহিষ জবাই হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭২ লাখ গরু।
অজয় কুমার আরও বলেন, প্রতিবছর দেখা যায় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা একাধিক গরু ও মহিষ কোরবানি দিয়ে থাকেন। তারা আবার বড় ধরনের গরুও পেতে চান। ভারতীয় গরু না পেলে গরুর ওপর একটু বেশি চাপ পড়বে। শেষ মুহুর্তে ভারতীয় বর্ডার খুলে দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ভারত থেকে গরু-মহিষ এসেছে চার লাখ ২০ হাজার। আগের বছরগুলোর তুলনায় এ সংখ্যা খুব কম।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর গড়ে ২০ লাখ গরু ভারত থেকে আনা হয়। এ খাতে লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ২০১৪ সালে গরু এসেছে ২০ লাখ ৩২ হাজার। ২০১৩ সালে আসে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্র আরও জানায়, গরু আমদানির জন্য সীমান্তে ৩১টি করিডোর স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে ১২টি, যশোরে ৯টি, খুলনায় চারটি, সিলেট ও চট্টগ্রামে আছে তিনটি করে করিডোর। সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু-মহিষ আমদানি খুবই কম। তবে আশার কথা হলো, কয়েকদিন ধরে কিছু আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতীয় গরু-মহিষের আমদানি বেড়েছে। এর অধিকাংশই আসছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত হয়ে। কিছু আসছে রাজশাহী সীমান্ত হয়ে। তবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত হয়ে গরু-মহিষ আসতে শুরু করেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম