দাবি না মানলে মহাসমাবেশের ঘোষণা
দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা চান প্রাথমিক শিক্ষকরা
বেতন কাঠামোয় ১১তম গ্রেড এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নতি চেয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট।
বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত, গীতা পাঠ এবং সমবেতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। আলোচনা ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সমাবেশ শেষ করা হয়।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা জানান, ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসাবে ঘোষণা করা। তারপর থেকেই সহকারী শিক্ষকদেরও সমমর্যাদা এবং বেতন বৈষম্য দূর করার দাবি জানানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখনো তার সঠিক কোনো সুরাহা হয়নি।
বক্তারা আরো জানান, ১৩ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং মহাপরিচালকের সাথে আলোচনা শেষে বৈষম্য নিরসনে প্রধাণ শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সমন্বিত একটি প্রস্তাবনা জনপ্রশাসন হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যাতে উল্লেখ ছিলো প্রধাণ শিক্ষকদের ১০ গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১২গ্রেডে উন্নীত করার কথা। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় তা ফেরত পাঠায়। মূলত এই দাবিটি শিক্ষক মহাজোটের অগোচরে করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর থেকে মহাজোটের নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের দাবি আদায়ে সোচ্চার আছেন।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৭০০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬০০০হাজার রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় কে জাতীয়করণ করেন। একইসাথে ২০১৫ সালে তিনি সকল বেতন গ্রেডে বেতন ও পদ মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। তবে বেতন বাড়লেও বৈষম্য দূর হয়নি। আমরা এই বৈষম্যের নিরসন চাই।
শিক্ষক নেতা আমিনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা শিক্ষকরা প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শিক্ষার্থীদের জিজিটাল ব্যবস্থায় শিক্ষা প্রদাণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে দিয়েছি। আজ আমরা যে দাবি নিয়ে এখানে সমবেত হয়েছি তা কোনো আন্দোলন নয়, কোনো প্রতিবাদ নয়। আমাদের একটাই দাবি, বেতন বৈষম্য দূর করে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম বেতন গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা হোক এবং তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার পদমর্যাদা দেওয়া হোক। আমরা সঠিক মর্যাদা না পেলে, আদর্শ মর্যাদাবান নাগরিক কিভাবে গড়বো।
পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে শাহিনুর আল আমিন জানান, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২৬ তারিখ মহাসমাবেশ হবে, যদি মহাসমাবেশ বাধাগ্রস্ত হয় তবে ৪জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষকরা এ সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের অন্যতম সংগঠক শাহিনুর আল আমিন, তপন কুমার মণ্ডল, শাহীনুর আকতারসহ অন্যান্য নেতারা।
নিউজ বাংলাদেশ/এএস/এসপি
নিউজবাংলাদেশ.কম/ এসপি








