News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১ এপ্রিল ২০১৫
আপডেট: ০৯:২৯, ১ মার্চ ২০২০

ফুলের তোড়া, জুস এবং মিষ্টির প্যাকেটের অন্তরালে খুনি

ফুলের  তোড়া, জুস এবং মিষ্টির প্যাকেটের অন্তরালে খুনি

ঢাকা: ৩০ মার্চ, সোমবার ছিলো বিআরটিএ কর্মকর্তা শীতাংসু শেখর বিশ্বাসের স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরীর জন্মদিন। তাই সকাল থেকেই তাদের মোহাম্মাদপুর ইকবাল রোডের  ৩/১২ নম্বর বাসায় ভিড় করতে থাকেন অতিথিরা। ঠিক এ সুযোগে ঘাতক খান জাকিরুলও ফুলের  তোড়া, জুস এবং মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে রাত ৯টার দিকে হাজির হন ওই বাসায়। হাতে থাকা ফুলের তোড়াটি তুলে দেন কৃষ্ণা কাবেরীর হাতে। জুস তুলে দেন দুই মেয়ে শ্রুতি বিশ্বাস এবং অত্রি বিশ্বাসের হাতেও। আর মিষ্টির প্যাকেটটি দেন কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী বিআরটিএর  উপপরিচালক শীতাংসু শেখরের হাতে।

পুলিশের ধারণা, ওই সমস্ত পানীয় ও মিষ্টির মধ্যে মেশানো ছিলো চেতনানাশক ওষুধ, যা পান করার পর অচেতন হয়ে পরে বাসার সবাই। এসময় হাজী আহমেদ সিকিউরিটিজ নামের একটি ব্রোকার হাউসের ম্যানেজার খান জাকিরুল প্রথমে চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে শীতাংসু বিশ্বাসের মাথায় আঘাত করে। মাথা ধরে তিনি বাসার মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে কৃষ্ণা কাবেরীকে বেধড়ক পেটাতে থাকে জাকির।

এসময় শীতাংসু বিশ্বাসের দুই মেয়েকেও বেধরক পিঠিয়ে রক্তাক্ত করেন জাকির। পরে ওই বাসায় আগুনও ধরিয়ে দেন তিনি। আগুন দেখে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে সকলকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পরে থাকতে দেখেন। পরে আহতদের উদ্বার করে প্রথমে শ্যামলী কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু কৃষ্ণা কাবেরীর অবস্থার অবনতী হলে মঙ্গলবার তাকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ওই রাতেই তিনি মারা যান। অন্যদিকে শীতাংসু বিশ্বাস ও তার দুই মেয়েকে ভর্তি করা হয় মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে।

বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মাদপুর থানার এসআই মাহবুব ইসলাম নিউজবাংলাদেশকে এ সব তথ্য জানান।

পুলিশের এ কর্মকর্তা দাবি করেন, “খুনী খান জাকিরুলের সাথে আগে থেকে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল কৃষ্ণা কাবেরীর। সে সম্পর্কের সুবাদে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর সুযোগ পান তিনি।”

এর আগে মঙ্গলবার রাতে কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী হত্যায় খান জাকিরুল নামের ওই ব্যক্তিকে আসামি করে মোহাম্মাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর ৫৩) দায়ের করেন নিহতের দেবর সুধাংশ শেখর বিশ্বাস। যদিও এখন পর্যন্ত খান জাকিরুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব ইসলাম নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি খান জাকিরুলকে গ্রেফতারের। এরই মধ্যে তার কর্মস্থলেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তবে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

খুব দ্রুতই আপনাদের সুসংবাদ জানাতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনএইচ/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়