News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
আপডেট: ২১:৪৯, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ফেসবুকে ‘চুদলিং পং’ কমেন্টকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলাগুলি, আহত ৫

ফেসবুকে ‘চুদলিং পং’ কমেন্টকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলাগুলি, আহত ৫

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় ফেসবুকে একটি আপত্তিকর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রাতভর উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে শুরু হওয়া বিতণ্ডা সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ভোররাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। 

আহতদের মধ্যে বরাব ছাপরা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (ওরফে ডাকাত শহিদুল) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রসুলপুর এলাকার মৃত সুজাত আলীর ছেলে সাকিবুল হাসান রূপগঞ্জ মানবাধিকার সংস্থার সদস্য নির্বাচিত হন এবং বিষয়টি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। ওই পোস্টে একই এলাকার আবু দায়েন প্রধানের ছেলে ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের উত্তরের সাবেক সভাপতি মাহিম মিরাজ “চুদ লিং পং” লিখে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। 

এ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাত ১১টার দিকে সাকিব ও মাহিমের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় এবং রাত প্রায় ২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে মা-মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

সংঘর্ষ চলাকালীন সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়। এ সময় সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে ডাকাত শহিদুল মাহিমের পক্ষে অংশ নেন এবং সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন, যাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী সাকিবুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তিনি বিষয়টি পোস্ট করেন; কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাহিম মিরাজ আপত্তিকর মন্তব্য করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। 

তিনি দাবি করেন, প্রতিবাদ জানানোর পর মাহিম তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। 

তার ভাষ্য অনুযায়ী, রূপগঞ্জের পরিচিত সন্ত্রাসী শহিদুল সংঘর্ষে অংশ নিয়ে নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ার সময় নিজেই গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ফেসবুক পোস্টে কমেন্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষ মিলিয়ে পাঁচজন আহত হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি আরও জানান, ঘটনায় জড়িত উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়